× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নোয়াখালীতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর-লুটপাট

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে
২৫ মে ২০১৯, শনিবার

নোয়াখালীতে যুবলীগ নেতা জমিদার বাহিনীর হাতে অর্ধশতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর, লুটপাটসহ ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, নোয়াখালী সদর উপজেলার বাটিরটেক চৌমুহনী বাজারে গতকাল রাত সাড়ে ১০টায় আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদার দাবিতে ব্যবসায়ীদের ওপর বাংলা বাজার এলাকার যুবলীগ নেতা জমিদার বাহিনীর হামলার এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সন্ত্রাসীরা প্রায় ৬০-৭০টি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করে বলে বাজার ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তারা দাবি করেন। এ ঘটনায় সুধারাম মডেল থানায় ২টি মামলা হয়েছে বলে পুলিশ জানান। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও বাটিরটেক বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন নিজাম জানান, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আবুল হোসেন জমিদার তার বাহিনী নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বাজারের ব্যবসায়ীদের উপর অন্যায় অত্যাচার করে আসছে। বাজারের ব্যবসায়ী মহসীন এর বাজার সংলগ্ন উত্তর পার্শ্বের জমি ঐ নেতা তার বাহিনী দিয়ে জোর পূর্বক দখল করে নেয় এবং ৫ লাখ টাকার দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় জমিদারের ৬০-৭০ জনের বাহিনী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাজারে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং ব্যবসায়ীদের গাল মন্দ ও মারধরের হুমকি দিয়ে বাজারে শোডাউন করে।
একপর্যায়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে রাত ১০টায় জমিদার দলবল বাড়িয়ে ১৫০- ২০০ জন সন্ত্রাসী নিয়ে রামদা, কিরিছ. হকিস্টিক লাঠি ও বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাজারে ঢুকে পড়ে এলোপাতাড়ি ব্যবসায়ীদের দোকানে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। একপর্যায়ে মা মাইক এন্ড ইলেকট্রনিক্সের দোকানের মালামাল লুট করে নিয়ে যায় এবং কিছু মালামালে আগুন ধরিয়ে দেয়, এছাড়াও ব্যবসায়ী মহসীনের দোকান ও ট্রাকের গ্লাস ভাঙচুর করে, নাহিদ স্টোর, আজাদের দোকান, জমির স্টোর, ফিরোজের দোকান, বাসেকের দোকান, আলতাফ ডাক্তারের দোকান, মাসুদের দোকান, নুর উদ্দিনের দোকান, আবদুল কাদেরের দোকান, নুরুজ্জামানের দোকান, নুর উদ্দিন কামারের দোকান, ইঞ্জিনিয়ার মোতালেবের মার্কেটের ১৩টি দোকান ও ফুটপাথের তরিতরকারী ব্যবসায়ীদের দোকানসহ ৬০-৭০টি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করে। তাদের মুহুমুহু ককটেলের বিস্ফোরণে প্রাণভয়ে ব্যবসায়ীরা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করে অনেকে আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে বাজার ব্যবসায়ীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। হামলার প্রতিবাদে মিছিল করে। তারা জমিদার ও তার বাহিনীর বিচার দাবি করেন। বর্তমানে পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে। এ বিষয়ে ব্যবসায়ী মহসীন বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় ৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন। বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন নিজাম জানান বাজার ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি একরামুল করিম চৌধুরীকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সুধারাম মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন মানবজমিনকে জানান, এ ঘটনায় সুধারাম মডেল থানায় ২টি মামলা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত যুবলীগের সন্ত্রাসীরা গ্রেপ্তার হয়নি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর