× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘মুসলিম বিশ্বে পূর্ণাঙ্গ ইসলামী সৌর ক্যালেন্ডার অনুসরণ করা উচিৎ’

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৪ বছর আগে) মে ২৪, ২০১৯, শুক্রবার, ৯:১৮ পূর্বাহ্ন

নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় রাখতে মুসলিম বিশ্বের প্রতিটি দেশে মুসলিম রচিত প্রথম ও পূর্ণাঙ্গ ইসলামী সৌর ক্যালেন্ডার ‘আত তাকউইমুশ শামসী’ অনুসরণ করা উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন চাঁদ গবেষকরা। শুক্রবার রাজধানীর পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তনে ‘বিজ্ঞান মুসলমানদেরই দান এবং আত তাক্বউইমুশ শামসী ক্যালেন্ডার পরিচিতি এবং তাৎপর্য’ শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিলে বক্তারা একথা বলেন। সেমিনারে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট চাঁদ গবেষক ও ফার্মাসিষ্ট এবিএম রুহুল হাসান। তিনি বলেন, বিজ্ঞান মুসলমানদেরই দান। মুসলমানদের থেকেই সকলে জ্ঞান বিজ্ঞান শিখেছে। মুসলমানদের উচিত জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চা আরও বাড়িয়ে পূর্ববর্তীদের ধারা অব্যাহত রাখা। পাশাপাশি মুসলমানদের নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় রাখতে মুসলিম বিশ্বের উচিত প্রতিটি দেশে মুসলিম রচিত প্রথম ও পূর্ণাঙ্গ ইসলামী সৌর ক্যালেন্ডার ‘আত তাকউইমুশ শামসী’ অনুসরণ করা। কারণ এর আগে প্রবর্তিত সকল ক্যালেন্ডারও অন্য ধর্ম ও জাতির নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় রাখতে প্রবর্তন করা হয়েছে।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, বর্তমানে ইরান ও আফগানিস্থানে লুনি-সোলার (চাঁদ ও সূর্যের সমন্বয়ে) ক্যালেন্ডার ব্যবহৃত হলেও মুসলমানদের রচিত পূর্ণাঙ্গ সৌর সাল কোনো মুসলমান দেশেই প্রচলিত নেই। তাই ঈসায়ী ক্যালেন্ডার যা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার নামে পরিচিত ক্যালেন্ডারের পরিবর্তে নতুন সৌরসাল ‘আত তাকউইমুশ শামসী’ বাংলাদেশসহ সারা মুসলিম বিশ্বে প্রচলন খুবই জরুরি। বক্তারা আরও বলেন, বর্তমানে ইরান, আফগানিস্থান, ইথিওপিয়া, নেপাল তাদের নিজস্ব ক্যালেন্ডার ব্যবহার করছে। তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, উত্তর কোরিয়া, জাপান নিজেদের মত করে একটা ক্যালেন্ডার ব্যবহার করছে। তাছাড়া ভারত, ইসরাইল, চাইনিজরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যবসায়িক কারণে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার মেনে নিলেও নিজ নিজ দেশের প্রশাসনিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কাজকর্ম পালনের লক্ষ্যে তাদের নিজস্ব ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে থাকে। এই দেশগুলো কেবল তাদের ধর্মীয় উৎসবের তারিখ নির্দিষ্ট করার জন্যই নয় বরং জাতিগত সত্ত্বা বজায় রাখার জন্যেও যার যার নিজস্ব ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে থাকে। তাহলে সারাবিশ্বের মুসলমানরা কেন তাদের স্বকীয়তা বজায় রাখার জন্য মুসলমান রচিত ক্যালেন্ডার ব্যবহার করবে না?
সেমিনারে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, বিশিষ্ট চাঁদ গবেষক ও ফার্মাসিষ্ট এবিএম রুহুল হাসান। শামসী ক্যালেন্ডার এবং বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচনা করেন, দৈনিক আল ইহসান এবং মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকার সম্পাদক আল্লামা মুহম্মদ মাহবুব আলম, নির্বাহী সম্পাদক আল্লামা আবুল খায়ের মুহম্মদ আযীযুল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার মুহম্মদ ফাহিম রাসেখ এবং আল্লামা মুহম্মদ আদনান মারুফ প্রমুখ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর