× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

গৃহবধূকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা / দেড় মাসেও গ্রেপ্তার হয়নি স্বামী

বাংলারজমিন

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
২৫ মে ২০১৯, শনিবার

যৌতুকলোভী স্বামীর দেয়া কেরোসিনের আগুনে দগ্ধ গৃহবধূ পপি দীর্ঘ দেড় মাস ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। তার শরীরের ৪২ শতাংশই পুড়ে গেছে। চিকিৎসকরা বলেছেন তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। মেয়ের চিকিৎসার খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে দরিদ্র পিতা। অগ্নিদগ্ধ পপি গাজীপুর জেলাধীন কালিয়াকৈর উপজেলার বরিয়াবহ গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় গোলাম নবী হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল কেরানি আবদুস সামাদ মিয়ার মেয়ে। এ ঘটনায় পপির বাবা আবদুস সামাদ বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানায় স্বামী রমজান আলীসহ ছয় জনের নামে মামলা করেন। নানা নাটকীয়তার পর মহাপুলিশ পরিদর্শকের নির্দেশে থানায় মামলা রেকর্ড হলেও দীর্ঘ একমাসেও আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। বাদীর দাবী, প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও অজ্ঞাত রহস্যজনক কারণে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না।

পপির পরিবার সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বরিয়াবহ গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় গোলাম নবী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের কেরানি আবদুুস সামাদ মিয়ার মেয়ে পপির প্রেমের সূত্র ধরে-২০১৫ সালে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানার সাড়াতৈল গ্রামের সিরাজুল ইসলামের পুত্র রমজান আলীর সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই পপির পিতার কাছে একটি সরকারি চাকরি অথবা ছয় লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে স্বামী রমজান আলী। কিন্তু পপির বাবা দরিদ্র আবদুস সামাদ মেয়ের স্বামীর দাবি পূরণ করতে পারেনি। এজন্য প্রতিনিয়তই পপির ওপর শারীরিক ও মানুষিক নিযার্তন শুরু হয়। পপির বাবার অভিযোগ, নির্যাতনের একপর্যায়ে ৩১ মার্চ রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় পপির গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে স্বামী রমজান আলী ও তার পরিবার। এ সময় পপির চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে অগ্নিদগ্ধ পপিকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর রমজান আলীর পরিবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি না করে মুমূর্ষু অবস্থায় বাড়ি নিয়ে যান। পপির গায়ে আগুন দেয়ার খবর শুনে পপির বাবা তার শ্বশুরবাড়িতে গেলে তাকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। এ সময় অগ্নিদগ্ধ মেয়েকে উদ্ধারের জন্য বেলকুচি থানায় গিয়ে পুলিশের সহায়তা চান তারা। বেলকুচি থানা পুলিশ অগ্নিদগ্ধ পপিকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ওই সময় পপির বাবা বেলকুচি থানায় মামলা করতে চাইলে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা তাদের সাথে চরম দুর্ব্যবহার করেন। একপর্যায়ে মামলা গ্রহণ না করে একটি মুচলেকায় স্বাক্ষর রেখে বাবা আবদুস সামাদের কাছে অগ্নিদগ্ধ পপিকে বুঝিয়ে দেন। পরে ওইদিন রাতেই পপিকে মুর্মূষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্নইউনিটে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে বেলকুচি থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ পপির বাবা আবদুস সামাদ বাদী হয়ে বেলকুচি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর