টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারের অবহেলায় মুকুল আকন্দ (৫২) নামের একজনের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী স্বজনরা চিকিৎসকসহ এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবিতে রাতেই নিহতের মরদেহ নিয়ে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাব সম্মুখের সড়ক অবরোধ করে। পরে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অনুরোধে এ আন্দোলন প্রত্যাহার করে স্বজনরা। নিহত মুকুল আকন্দ (৫৫) টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পশ্চিম আকুর টাকুর পাড়ার মরহুম তালু আকন্দের ছেলে। গতকাল সকালে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন নিহতের ছোটভাই হুমায়ুন আকন্দ রশিদ সোনা।
সংবাদ সম্মেলনে হুমায়ুন আকন্দ রশিদ সোনা বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে তার বড় ভাই মুকুল আকন্দকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৪ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভাইকে রেফার্ড করে।
তার পরিবারের লোকজন এম্বুলেন্স ভাড়া করতে গেলে কর্তব্যরত সজীব নামের ডাক্তার অক্সিজেন খুলে দেয়। বার বার অনুরোধ করার পরও তিনি অক্সিজেন আর দেননি। কর্তব্যরত স্টাফরাও অক্সিজেন দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর ছটফট করতে করতে মুকুল আনন্দ মারা যান। আর এর প্রতিবাদ করতে গেলে পরিবারের সদস্যদের একটি কক্ষে আটকে রেখে ডা. সজীবের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন স্টাফ ও ইন্টার্নিরত শিক্ষার্থীরা তাকেসহ, নিহতের বড় ছেলে মাসুদ আকন্দ, মেজো ছেলে রাসেল আকন্দ, নিহতের বউ হাসিনা বেগম, ভাগ্নে মিলন আকন্দ, ভাগ্নি মুক্তি, ভগ্নিপতি শামসুর রহমান এবং প্রতিবেশী শাহাদত হোসেনকে মারধর করে। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ও আটককৃতদের উদ্ধার করে। তিনি আরও বলেন, চিকিৎসকদের অবহেলা ও ভুল চিকিৎসার কারণে আর কারো যেন ভাই হারাতে না হয়।
তবে এ ঘটনায় ডা. সজীবের অভিযোগ রোগীর স্বজনরা উল্টো চড়াও হয় তাদের চিকিৎসক ও ইন্টার্নি শিক্ষার্থীদের মারপিট করেছে।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল মডেল থানার ওসি সায়েদুর রহমান বলেন, এ সংবাদ পেয়ে দ্রুত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় এখনও থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি।