নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানি ইউনিয়নে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় দুই আসামি সাইফুল ও বাবুকে গ্রেপ্তার করেছে বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি এলজি ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সকালে পুলিশ ছয়ানি ইউনিয়নের দোয়ালিয়া গ্রামের একটি বাড়ি ঘেরাও করে আসামিদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন- ওই গ্রামের মোস্তফার ছেলে সাইফুল ও রুদ্রপুর গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে বাবু। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে গৃহবধূর ঘরে ঢুকে আসামিরাসহ তিনজন গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। নির্যাতিতার পরিবার জানায়, অভিযুক্ত তিন আসামি- হারুন, সাইফুল ও বাবুর পুকুরে মাছ চাষকে কেন্দ্র করে ভিকটিমের স্বামীর সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে বিভিন্ন সময় আসামিরা তাদের হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। এর সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভিকটিমদের ঘরে ঢুকে ঘরে থাকা জাহানারা বেগম ও মনোয়ারা বেগমকে মারধর করে আহত করে আসামিরা। পরে ওই তিন সন্ত্রাসী অস্ত্রের মুখে ভিকটিমকে একটি কক্ষে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। বাড়ির লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে এগিয়ে আসলে আসামিরা পালিয়ে যায়। ধর্ষিতার পরিবার আরো অভিযোগ করেন, গণধর্ষণ শেষে আসামিরা তাদের ঘর থেকে ৪০ হাজার টাকার একটি স্বর্ণের চেইন ও তাদের বসত ঘরে ব্যাপক ভাঙচুর করে। বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ আলম মোল্লা মানবজমিনকে বলেন, ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। মামলার সূত্র ধরে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তারকৃত বাবু এলাকার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। সে থানার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ওসি আরো বলেন, ধর্ষণের শিকার ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।