ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের নতুন পরিষদের দায়িত্ব গ্রহণ বর্জন করেছেন ৯ ইউপি চেয়ারম্যান। তাদের অভিযোগ- ভোটের দিন প্রশাসন ম্যানেজ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পিটিয়ে তারা নির্বাচিত হয়েছেন। দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাবেন না বলে আগেই জানিয়ে দেন সদরের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তার প্রতিনিধি এম এইচ মাহবুব আলমও যাননি সেখানে। ৯ ইউপি চেয়ারম্যান ছাড়াও সংরক্ষিত নারী আসনের ৪ সদস্য যোগ দেননি দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে। পরিষদ সংশ্লিষ্ট সবার বর্জনের মধ্য দিয়ে বুধবার দায়িত্ব নেন সদরে নতুন নির্বাচিত চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, ভাইস চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার। তাদের দায়িত্ব গ্রহণ উপলক্ষে সাধারণ সভা হয় সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে। সদর উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজিমুল হায়দার সভাটি সঞ্চালনা করেন।
সভায় সদরের ১১ ইউনিয়নের মধ্যে সুহিলপুর, মাছিহাতা, বাসুদেব, রামরাইল, সাদেকপুর, তালশহর পূর্ব, নাটাই দক্ষিণ, বুধল ও মজলিশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা যোগ দেননি। তবে নাটাই উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুল্লাহ বাহার ও সুলতানপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবুল খায়ের যোগ দিয়েছেন তাতে। ইউপি চেয়ারম্যানরা যোগ না দেয়ায় সভায় ফিরোজুর রহমান ওলিও তার বক্তব্যে বলেন- তারা মনে হয় দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। আমি তাদের মঙ্গল কামনা করি। দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ না দেয়ার বিষয়ে বাসুদেব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া বলেন-৩১শে মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সবাই নাজেহাল হয়েছেন। এটা ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী কখনো ভুলবে না। তাছাড়া চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান এই সভার বিষয়ে আমাদের কাউকে ফোন করেননি। শপথ গ্রহণের সময়ও অনেককে নিয়ে গেছেন কিন্তু চেয়ারম্যানদের কাউকে বলেননি। মাছিহাতা ইউপি চেয়ারম্যান আলামিনুল হক পাভেল বলেন- আজকে যারা দায়িত্ব নিচ্ছেন তাদের নির্দেশনায় নৌকার সমর্থকদের পেটানো হয়েছে। এরই প্রতিবাদে আমরা সেখানে যাইনি।