যুক্তরাষ্ট্র থেকে ব্রাজিল বা ইতালি পর্যন্ত সর্বত্রই ডানপন্থিদের উত্থান ঘটছে। তারই ধারাবাহিকতা যেন ভারতেও ঘটলো। এসব দেশে গ্রহণ করা হয়েছে সংরক্ষণবাদ, অভিবাসন ও প্রতিরক্ষা ইস্যুতে কঠোর অবস্থান। ভারতে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি ব্যবসাবান্ধব নীতি গ্রহণ করেছে। জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে দেখিয়েছে কঠোর অবস্থান। এসব কারণে এবারের লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিরোধীদের দুর্গ ভেঙেচুরে চুরমার করে দিয়েছেন। এককভাবে আরো শক্তি নিয়ে আবির্ভূত হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের সরকারি ডাটা অনুযায়ী ৫৪২ আসনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা প্রার্টি ৩০২ আসনে এগিয়ে আছে।
২০১৪ সালে তারা পেয়েছিল ২৮২ আসন। এখানে সরকার গঠন করতে হলে লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে প্রয়োজন ২৭২ আসন। তবে সেই ফিগার অনেক আগেই পেরিয়ে গেছেন তিনি ও তার দল। আর তার জোট এনডিএ এগিয়ে আছে ৩৫৩ আসনে। বিরোধী দল কংগ্রেস ৯০ আসন নিয়ে পরাজয় মেনে নিয়েছে। অন্য দলগুলো এগিয়ে আছে ৯৯ আসনে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও অনলাইন জি নিউজ।
নরেন্দ্র মোদি এবার যে খেলা দেখিয়েছেন, রাজনীতির কঠিন যে কৌশল ব্যবহার করেছেন তাতে কুপোকাত সব বিরোধী রাজনৈতিক দল বা জোট। এর ফলে ১৯৮৪ সালের পর তিনিই প্রথম পর পর দু’বার সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজয়ী হলেন। আর এবারের বিজয় তো বাঁধভাঙা বিজয়। তাই তাকে গোলাপ ফুলের পাপড়ির বৃষ্টিতে ভিজিয়েছেন নেতাকর্মী সমর্থকরা। বিশ্বনেতারা অভিনন্দনে ভাসিয়ে দিচ্ছেন তাকে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের দেশে এমন বিস্ময় সৃষ্টি করায় তিনি এখন বিশ্বজুড়ে আলোচনায়। ভূমিধস বিজয়ের ফলে আত্ম-অহমিকা দেখান নি মোদি। তিনি বরং বলেছেন, এই নির্বাচনে যা ঘটেছে তা অতীত। আমাদের সামনের দিকে তাকাতে হবে। আমাদের কঠোর বিরোধীদেরসহ প্রতিটি মানুষকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।