× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

তৃতীয় দিনেও ট্রেনের টিকিট পেতে ভোগান্তি

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২৫ মে ২০১৯, শনিবার

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের জন্য ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির তৃতীয় দিনেও ভোগান্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই দিন বিক্রি  করা হয় ২রা জুন ট্রেন যাত্রার টিকিট। সকাল থেকে কমলাপুর স্টেশনে টিকিট কাউন্টারগুলোতে ছিল টিকিটপ্রত্যাশীদের উপচেপড়া ভিড়। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন টিকিটের অপেক্ষায়। এদের মধ্যে কেউ  এসেছেন সেহেরী খেয়ে। কিন্তু লাইনে থাকা সবার উদ্বেগ একটাই কাঙ্ক্ষিত টিকিট পাবো তো। এদিকে  দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষার পর অনেকে কাঙ্ক্ষিত টিকিট হাতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়েছেন। চোখে মুখে ছিল হাসির বন্যা।
লাইনে দাঁড়ানো যাত্রীরা রেলওয়ে কর্মকর্তাদের অদক্ষতার কারণে ধীরগতিতে টিকিট দেয়ার অভিযোগও করেছেন। অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট না পাওয়ার অভিযোগেরও শেষ নেই। প্রথম ও দ্বিতীয় দিনের মতো তৃতীয় দিনেও অনলাইনে এবং অ্যাপ থেকে টিকিট কিনতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন টিকিট প্রত্যাশীরা।

গতকাল সকাল ৯টা থেকে রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনসহ পাঁচটি স্থানে টিকিট বিক্রি শুরু করে রেল কর্তৃপক্ষ। তৃতীয় দিন বিক্রি  করা হয় ২রা জুন ট্রেন যাত্রার টিকিট। এদিন ৩৩টি আন্তঃনগর এবং চারটি বিশেষ ট্রেনসহ ৩৭টি ট্রেনের ২৮ হাজার ২২৪টি টিকিট বিক্রি করা হয়। কমলাপুর স্টেশন থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে ভ্রমণকারী ১৬টি ট্রেনের ১৪ হাজার ৯৫টি টিকিট বিক্রি করা হয়। এরমধ্যে কাউন্টার থেকে পাঁচ হাজার ৯৪৪টি এবং অনলাইন ও মোবাইল অ্যাপসে আট হাজার ১৫১টি টিকিট। বিমান বন্দর স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী ৭টি আন্তঃনগর ট্রেনের চার হাজার ৮৭৯টি টিকিট বিক্রি হয়। এরমধ্যে দুই হাজার ৫৪৮টি অনলাইনে এবং দুই হাজার ৩৩১টি টিকিট কাউন্টার থেকে বিক্রি হয়। তেজগাঁও স্টেশন থেকে জামালপুরগামী পাঁচটি ট্রেনের তিন হাজার ৪৪৪টি টিকিট বিক্রি করা হয়। এরমধ্যে ৬৪৪টি অনলাইনে এবং ৬১৪টি কাউন্টারে বিক্রি করা হয়। বনানী স্টেশন থেকে মোহনগঞ্জ রুটের দুটি ট্রেনের এক হাজার ২৫৮টি টিকিট বিক্রি করা হয়। ফুলবাড়িয়া পুরাতন রেলভবন থেকে সিলেট ও কিশোরগঞ্জ রুটের সাতটি আন্তঃনগর ট্রেনের চার হাজার ৫৪৮টি টিকেট বিক্রি হয়।  ভোরে সেহরির পর কমলাপুর রেলস্টেশনে টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়ানো কামাল বলেন, বৃহস্পতিবার অনলাইন বা মোবাইল অ্যাপ থেকে চেষ্টা করেও টিকিট কিনতে পারেননি।

এজন্য শুক্রবার ভোরে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। রোকন উদ্দিন নামে একজন অভিযোগ করেন, টিকিট ধীরগতিতে দেয়া হচ্ছিল। এসি বা কেবিনের টিকিট নিতে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখছে। এজন্য সময় বেশি লাগছে। ভোর পৌনে ৬টায় মোহাম্মদপুর থেকে টিকিটের জন্য বিমানবন্দর আসেন করিম সরকার। তিনি লাইনে দাঁড়িয়েও অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট কেনার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু সেই চেষ্টা করেও তার ভাগ্যে অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট জোটেনি। তিনি বলেন, রেলসেবা অ্যাপে ৫০ ভাগ টিকিট রয়েছে। টিকিট কেনা যাচ্ছে না। তাই টিকিট কাটতে বিমানবন্দর স্টেশনে এসেছি। লাইনেও আছি, দেরি হচ্ছে দেখে অ্যাপের মাধ্যমেও চেষ্টা করছি। কিন্তু কাজ হচ্ছে না।
এ বিষয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম বলেন, অনলাইনের সমস্যা ধীরে ধীরে কেটে যাচ্ছে। আমাদের বিশেষজ্ঞ দল সমস্যা সমাধানে কাজ করছে। এখন লোকজন টিকিট পাচ্ছেন। চাহিদা অনুযায়ী কমলাপুরে নারীদের আরেকটি কাউন্টার খুলে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর