বাংলাদেশে অনেকদিন আগেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে জামাতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ বা জেএমবি’কে। এতদিনে ভারতেও নিষিদ্ধ করা হলো এই সংগঠনটিকে। কিছুদিন ধরেই ভারতের নানা জায়গায় শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে জঙ্গী কার্যকলাপ চালাচ্ছে জেএমবির জঙ্গীরা। পশ্চিমবঙ্গের বুকেও তারা বেশ কয়েকটি স্লিপার সেল তৈরি করেছে। এতদিন ভারতের গোয়েন্দারা জেএমবির উপর নজর রাখলেও এবার জেএমবিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক বিজ্ঞপ্তিকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা পিটিআই শুক্রবার জানিয়েছে, এই সংগঠনটি সন্ত্রাসী কার্যক্রম সংঘটিত এবং উৎসাহিত করেছে, তাছাড়া ভারতের যুবকদের উগ্রপন্থায় দীক্ষিত করা এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রমে নিয়োগ করার কাজেও জড়িত ছিল। আরও বলা হয়েছে, এ কারণে জামাতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ অথবা জামাতুল মুজাহিদীন ইন্ডিয়া বা জামাতুল মুজাহিদীন হিন্দুস্তান নামের সব রকম সংগঠনকে বেআইনী কার্যক্রম (প্রতিরোধ) আইন ১৯৬৭-তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ভারতে ইতিমধ্যে বেশ কিছু নাশকতার সঙ্গে জেএমবির যোগাযোগ গোয়েন্দারা প্রমাণ পেয়েছেন।
প্রায় ৪৫ জন জেএমবি জঙ্গীকে ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করাও হয়েছে।
ভারতের বিহারের রাজ্যের বুদ্ধগয়াতে দালাই লামার সফরের সময় বিস্ফোরণ ঘটানোর চেষ্টার সঙ্গেও জেএমবির যোগসূত্র থাকার কথা গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে। এই ঘটনার সূত্রেই জেএমবি জঙ্গী কাওসর ওরফে বোমা মিজানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভারতে জেএমবির কর্মকান্ড পরিচালনাকারী সালাউদ্দিনকে গোয়েন্দারা হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছেন। ২০১৪ সালে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণের সূত্রে প্রথম ভারতে জেএমবি কার্যক্রমের কথা গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। জানা যায়, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় মাদ্রাসার আড়ালে জঙ্গী নিয়োগের পাশাপাশি প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছিল। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা ৩৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দিয়ে এই মামলার বিচারও শুরু করেছে। এই মামলায় মোট ৩২ জন জেএমবি জঙ্গীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।