× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আশা দেখাচ্ছে ওভালের উইকেট

ইংল্যান্ড থেকে

স্পোর্টস রিপোর্টার
২ জুন ২০১৯, রবিবার

প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা পেস শক্তিতে বলীয়ান। ম্যাচটা যখন তাদের বিপক্ষে, উইকেট নিয়ে আলাদা করে ভাবতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। ম্যাচের ভেন্যু কেনিংটন ওভালের উইকেট গতিময় হবে নাকি একটু মন্থর? প্রশ্নটা সবারই। টাইগার দলের বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ জানিয়েছেন, ওভালের উইকেট হবে একটু মন্থর। আর এ কারণেই প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ভালো কিছুর আশা করছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। ওয়ালশ বলেন, ‘গতকাল যে উইকেটে খেলা হয়েছে, সেখানেই হবে আমাদের ম্যাচ। তা হলে আমার জন্য ভালো। ওভালে সাধারণত ভালো ক্রিকেট উইকেট থাকে, ভালো স্কোর হয়।
ভালো একটি ম্যাচ হবে বলে ধারণা করছি আমি। উইকেটের আচরণ ভালো থাকার কথা। পেস-স্পিন, দুটিই সহায়তা পাবে বলে মনে হচ্ছে।’
ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচটি এই ওভালেই অনুষ্ঠিত হয়। আগে ব্যাট করতে নেমে ৩১১ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড। উইকেট ছিল কিছুটা স্লো। পেসাররা বেশি ভালো করলেও স্পিনারা একেবারে খারাপ করেননি। ইনিংসের প্রথম ওভারেই লেগস্পিনার ইমরান তাহিরকে নিয়ে আসেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি। আর দ্বিতীয় বলেই ইংলিশ ওপেনার জনি বেয়ারস্টোকে ফেরান তাহির। ১০ ওভারে ৬১ রানে ২ উইকেট নেন তিনি। প্রোটিয়া পেসারদের মধ্যে লুঙ্গি এনগিডি নেন ৩ উইকেট। আর ইংলিশ স্পিনারদের মধ্যে লেগি আলিদ রশিদ ৮ ওভারে ৩৫ রানে ১ উইকেট ও অফস্পিনার মঈন আলী ১০ ওভারে ৬৩ রানে ১ উইকেট পান। পেসারদের মধ্যে জোফরা আর্চার ৩টি, বেন স্টোকস ও লিয়াম প্লাঙ্কেট নেন ২টি করে উইকেট। ২০৭ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। উদ্বোধনী ম্যাচের ফল ইঙ্গিত করে, উইকেট কিছুটা মন্থর থাকলে ২৭০-৩০০ রান যথেষ্ট হতে পারে। আগে ব্যাট করে ভালো একটা স্কোর দাঁড় করাতে পারলে পরে স্পিন দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে চাপে ফেলা যাবে। দলে সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের মতো দুজন স্পিনার রয়েছেন। মাঝের ওভারগুলোতে প্রতিপক্ষের রান বেঁধে রাখতে এ দুজনের ওপর অনেকটাই নির্ভর করবে বাংলাদেশ। এছাড়া অকেশনাল স্পিনার হিসেবে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও সাব্বির রহমান রয়েছেন। ফাঁকে ফাঁকে তাদেরও ব্যবহার করা যাবে।  
তবে দুদিনের ব্যবধানে ওভালের উইকেট পাল্টে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে মাঠে নেমে ব্যবহৃত উইকেটের ধরন ধরতে পারাটা গুরুত্ব বলে মনে করেন ওয়ালশ। কারণ, ব্যবহৃত উইকেট পেস বান্ধব হয়ে উঠতে পারে। আর এ ধরনের উইকেটে বাড়তি সর্তকতা প্রয়োজন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের মাটিতে ২০০৪ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ৯৩ রানে অলআউট হওয়ার দুঃস্মৃতি রয়েছে বাংলাদেশের। এছাড়া পেস সহায়ক উইকেটে বরাবরই প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ধুঁকতে দেখা যায় টাইগারদের। ওয়ালশ তাই বলেন, গতকাল আমরা দেখেছি কেমন ছিল আচরণ, তাই ভালো ধারণা পাচ্ছি রোববার কেমন থাকতে পারে। দুদিন পর ম্যাচ, খেলা হবে ব্যবহৃত উইকেটে, এসব বিবেচনায় রাখতে হবে। প্রথমে আমাদের যা করতে হবে, দ্রুত উইকেট পড়ে ফেলতে হবে। তবে চতুর্থ দিনের উইকেটের মতো হলে (যদি টেস্ট ম্যাচের চতুর্থ দিনের উইকেটের মতো থাকে) আবার প্রথম ম্যাচের মতো আচরণ করবে না। সেটা বুঝাও গুরুত্বপূর্ণ। তবে এখনো বেশ ভালো উইকেট মনে হচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর