× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শিক্ষায় হিন্দি বাধ্যতামূলক নয়, চাপে পড়ে সিদ্ধান্ত বদল

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) জুন ৩, ২০১৯, সোমবার, ৭:২৪ পূর্বাহ্ন

ভারতে মোদী সরকার যে নতুন শিক্ষানীতি চালু করতে চলেছেন তাতে স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত হিন্দি ভাষা বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। দেশটির নতুন মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর কাছে শনিবার প্রথম দিনেই এই নতুন শিক্ষানীতির প্রস্তাব জমা পড়েছিল। এই প্রস্তাবের কথা জানাজানি হবার পরই গোটা দক্ষিন ভারতসহ ভারতের নানা প্রান্তের রাজনীতিবিদ  ও সাধারন মানুষ গর্জে উঠেছিল। আর তার পরেই প্রবল চাপের মুখে কেন্দ্রীয সরকার সিদ্ধান্ত বদল করতে বাধ্য হয়েছে। জানিয়ে দেওয়া হযেছে নতুন শিক্ষানীতিতে হিন্দি বাধ্যতামীণক থাকছে না। হিন্দি ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবেই থাকবে। সোমবার সকালে শিক্ষা নীতির খসড়া সংশোধন করে কেন্দ্রীয় সরকার হিন্দি বাধ্যতামূলক করার বদলে তাতে ‘নমনীয়’ শব্দটি যোগ করা হয়, যার ফলে ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণিতে নিজেদের পছন্দ মতো ভাষা বেছে নিতে পারবে পড়–ুয়ারা। সংশোধিত নয়া খসড়ায় বলা হয়েছে, ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণিতে পড়াকালীনই তিনটি ভাষার মধ্যে একটি বা তার বেশি ভাষার পরিবর্তন করতে পারবে পড়ুয়ারা।
এ ব্যাপারে পড়–য়ারা স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাহায্য নিতে পারবে বলেও জানানো হয়েছে। যে ভাষায় স্কুলে পড়ার সুবিধা, সেটাই বেছে নেওয়া যাবে বলে সংশোধনীতে উল্লেখ করা হয়েছে। গত শনিবার নতুন শিক্ষানীতির খসড়ায় হিন্দিকে বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব জানাজানি হওয়ার পরই দক্ষিনভারতের রাজ্যগুলি প্রতিবাদ জানায়। এমনকি  এনডিএ-র শরিকরাও প্রতিবাদ জানান। হিন্দি আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে দক্ষিন ভারতের আন্দোলন অনেক দিনের। তামিলনাডুতে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে বারে বারে প্রতিবাদ হয়েছে।  ১৯৬৫-তে হিন্দি-বিরোধী আন্দোলন সংঘর্ষের রুপ নিয়েছিল। এর রেশ ছড়িয়েছিল তৎকালীন অন্ধ্রপ্রদেশ, মাইশোর এবং কেরলে। ১৯৮৬-তে শিক্ষা নীতি তৈরি হয়, যা সংশোধন হয় ১৯৯২-এ। বিজেপি ২০১৪-র ইস্তাহারেই নতুন শিক্ষা নীতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। দ্বিতীয় বার সরকারে এসে প্রথম একশো দিনের মধ্যেই নতুন শিক্ষা নীতি চূড়ান্ত করতে উদ্যোগী হয়েছে মোদী সরকার।  তবে তামিলনাডুর সব রাজনৈতিক দল ঘোষনা করেন, তারা সর্বশক্তিতে এই প্রস্তাব প্রতিহত করবে।  সেখানে সোশ্যাল মিডিয়াাতেও শুরু হয়েছে হিন্দি ঠেকাও আন্দোলন। এনডিএ-র শরিক এডিএমকে এবং পিএমকে জানিয়েছে, অ-হিন্দিভাষী রাজ্যগুলির উপর জোর করে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া হলে দেশের বহুত্ববাদী চিন্তাধারায় আঘাত লাগবে। তামিলনাডুুর এডিএমকে সরকারের শিক্ষামন্ত্রী কেএ সেঙ্গোত্তাইয়ান জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা কেন্দ্রের এই নীতি মানবেন না। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরাও হিন্দি অস্টম শ্রেনি পর্যন্ত বাধ্যতামীলক করার প্রাথমিক প্রস্তাবে তীব্র্্র আপত্তি জানান। সাবেক ইসরো চেয়ারম্যান কে কস্তুরীরঙ্গন কমিটির তৈরি শিক্ষানীতির খসড়ায় বলা হয়,  স্কুল শিক্ষায় তিনটি ভাষা শেখানো প্রয়োজন। হিন্দিভাষী রাজ্যে হিন্দি, ইংরেজির পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীরা যে কোনও ভাষা বেছে নিতে পারে। অ-হিন্দিভাষী রাজ্যে হিন্দি, ইংরেজির সঙ্গে ছাত্রছাত্রীরা একটি আঞ্চলিক ভাষা শিখতে পারে। যার অর্থ, তামিলনাডু, অন্ধ্র, কেরলের মতো রাজ্যেও হিন্দি শেখা বাধ্যতামূলক।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর