আক্ষেপ আর আফসোসে কাটলো বাংলাদেশের শেষ দুটি ম্যাচ। নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ শেষে টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি আফসোস করেছিলেন দল ২০-৩০ রান কম করায়। ইংল্যান্ডের কাছে হারের পর আক্ষেপে পুড়লেন প্রতিপক্ষের সংগ্রহ ৫০-৬০ রান বেশি হওয়ায়। কিউইদের বিপক্ষে ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হলেও বোলিং ফিল্ডিংটা ভালো ছিল টাইগারদের। তাই স্বল্প পুঁজি নিয়েও লড়াই করা গেছে ওই ম্যাচে। কিন্তু কার্ডিফে যাচ্ছেতাই ফিল্ডিং ও বাজে বোলিংয়ের মাশুল দিয়েছে বাংলাদেশ।
এদিন বাংলাদেশের সাদামাটা বোলিংয়ে পাহাড় সমান ৩৮৬ রান করেছিল ইংল্যান্ড। যা কিনা বিশ্বকাপের ইতিহাসে ইংলিশদের সর্বোচ্চ রান, বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। আগে ব্যাট করে এত বড় সংগ্রহ দাঁড় করানোর পরই মূলত নিশ্চিত হয়ে যায় টাইগারদের পরাজয়।
দেখার বিষয় ছিল, এ বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কেমন জবাব দেয় বাংলাদেশ। ইনিংসের মাঝামাঝি পর্যন্ত লড়াই না করলেও ভালোই ব্যাট করছিল টাইগাররা। চলতি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিও তুলে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু বাকিদের কাছ থেকে সে অর্থে সমর্থন না পাওয়ায় ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের পরাজয়ের ব্যবধানটা বেশ বড়, ১০৬ রানের। সাকিব আল হাসান সেঞ্চুরির পরও নির্ধারিত ৫০ ওভারের ৭ বল বাকি থাকতেই ২৮০ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। আর ম্যাচ শেষে টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার কণ্ঠে ফুটে উঠলো হতাশার সুর। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘আমি মনে করি ব্যাটসম্যানদের কাছে ৩৮৭ রান তাড়া করতে চাওয়া অনেক বড় চাহিদা হয়ে যায়। আমরা ইংল্যান্ডের ইনিংসের প্রথম ৪-৫ ওভার শুধু ভালো করেছি। এরপর তারাই পুরো ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করলো।
আমরা জানতাম যে ম্যাচে ফিরতে হলে রয়ের (জেসন) উইকেট নিতেই হবে। এ সময় টসে জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যায় মাশরাফি বলেন, ‘এ পিচটা প্রায় দেড়দিনের বেশি সময় কভার দিয়ে ঢাকা ছিল। তাই আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিতে আমরা দুইবার ভাবিনি। মাঝেমধ্যে উইকেট নিতে হলে ভাগ্যেরও প্রয়োজন হয়।’ মাশরাফি বলেন, তার দল ২৮০ রানে অলআউট হলেও, ইংল্যান্ডের সংগ্রহটা যদি ৩৩০ রানের আশেপাশে হতো, তাহলে ম্যাচের গল্পটা অন্যরকম হতে পারতো। এ সময় সাকিব আল হাসানকে তার প্রাপ্য কৃতিত্ব দিতেও ভোলেননি টাইগার অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘সত্যি বললে ওরা যদি ৩৩০ রানও করতো, তাহলে আমাদের রান তাড়ার গল্পটা অন্যরকম হতে পারতো। তিন নম্বরে সাকিব আল হাসান দুর্দান্ত ব্যাটিং করছে। তার বোলিংটাও আমাদের অনেক কাজের। এখনো ৬টা ম্যাচ বাকি আছে। আশা করি সেগুলোতে ঘুরে দাঁড়াতে পারবো আমরা।