বিশ্বকাপের মঞ্চে সেঞ্চুরি যেকোনো ব্যাটসম্যানের কাছেই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। সেটি যদি হয় প্রথম, তাহলে তো কথাই নেই। কিন্তু কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২১ রানের অসাধারণ ইনিংস খেললেও সেটি ঘিরে উচ্ছ্বসিত হতে পারছেন না সাকিব আল হাসান। বড় ব্যবধানে বাংলাদেশ দলের হারে বিফলেই গেছে বিশ্বকাপে বাঁহাতি তারকার প্রথম সেঞ্চুরিটি। শনিবার দলের সেরা পারফর্মার সাকিবই আসেন ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে। করেন হারের ব্যাখ্যা। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে চার কারণ- ইংল্যান্ডের দারুণ শুরু ও ফিনিশিং, কন্ডিশন ও মাঠের আকার, মাঝামাঝি সময়ে মুশফিক ও মিঠুনের উইকেট দ্রুত হারানো এবং প্রতিপক্ষের সংগ্রহ মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়া।
টস হেরে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৮৬ রান তোলে ইংল্যান্ড।
বাংলাদেশের নির্বিষ বোলিং ও বাজে ফিল্ডিংয়ের দিনে ওপেনিং জুটিতে আসে ১২৮। পাহাড়সম রান তাড়ায় নেমে সাকিবের একার লড়াইয়ের পর ৭ বল আগেই বাংলাদেশ অলআউট হয় ২৮০ রানে।
হারের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সাকিব বলেন, ‘আমরা প্রথম ম্যাচে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ভালো ব্যাটিং করেছি। ইংল্যান্ড দারুণ ব্যাটিং করেছে। ওপেনাররা ভালো করেছে। আর বাটলারের ফিনিশিং ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।’ গত তিন ম্যাচেও বাজে ফিল্ডিং করেছে টাইগাররা। ফিল্ডিং নিয়ে সাকিব বলেন, ‘শুধু আজকের (শনিবার) ম্যাচেই নয়। গত তিন ম্যাচের ফিল্ডিং ভালো হয়নি। যে কারণে আমরা নিজেরাও আমাদের ফিল্ডিং নিয়ে চিন্তিত। বিশেষ করে যে পজিশনে বেশি রান হয়, সেখানেই আমাদের ফিল্ডিংটা ভালো হচ্ছে না। ফিল্ডিং নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। সমস্যা হচ্ছে আমাদের ফিল্ডাররা তাদের (ইংল্যান্ড) মতো না। আপনি যদি বেন স্টোকস কিংবা অন্য কারও কথা চিন্তা করেন, সেটা বুঝবেন। স্বাভাবিকভাবেই আমরা তাদের চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে থাকবো।’ টস নিয়েও কথা বলেছেন এই টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব। টসের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এটা দলগত সিদ্ধান্ত। ভালোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে এসব কোনো বিষয় না। আমরা ভালো খেলতে পারিনি। আমরা দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো বোলিং করেছিলাম। এখানে আমরা আরো ভালো পারফরম্যান্সের প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু হয়নি।’ সাকিব আল হাসান মনে করেন মাঠের আয়তন ও কন্ডিশন দুই মিলিয়ে ভালো বোলিং হয়নি। সাকিব আল হাসান বলেন, জস বাটলারের মতো কেউ ব্যাটিং করলে পরিকল্পনা ঠিক রাখা কঠিন। তখন ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ কিংবা ‘ডি’- কোনও পরিকল্পনাই কাজ করে না। আর এই মাঠটি সোজা (স্ট্রেট) দিকে ছোট। আমাদের বোলারদের বলের গতি ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটারের বেশি নয়। বেশি হলে স্লোয়ার কিংবা বাউন্সার দিয়ে প্রতিপক্ষকে সাইড বাউন্ডারি ব্যবহার করতে বাধ্য করতে পারতো। তারা আমাদের বিপক্ষে সোজা ব্যাটে মারবে, সেটাই তো স্বাভাবিক। মাঠের মাপটা আমাদের পক্ষে ছিল না।