× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা /চলন্ত বাসে বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ও সোনারগাঁ প্রতিনিধি
১২ জুন ২০১৯, বুধবার

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে চলন্ত বাসে এক কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছে চালক। এ সময় হেলপার গাড়ি চালাচ্ছিল। কিশোরীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন বাস থেকে কিশোরীকে উদ্ধার এবং চালক শামীমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মেঘনা নিউটাউনের সামনে ঢাকা টু মেঘনায় চলাচলরত স্বদেশ পরিবহনের একটি বাসে। আটক শামীম মিয়া সোনারগাঁ উপজেলার নানাখি মধ্যপাড়া গ্রামের আঃ রব ভূঁইয়ার ছেলে। ওই কিশোরীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ। সে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে এক ব্যক্তির বাড়ির ভাড়াটিয়া। এদিকে এ ঘটনায় মামলা করেছে ওই কিশোরী।
পুলিশ আটককৃত শামীমকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠিয়েছে।

সূত্রমতে, পিরোজপুর ইউনিয়নের মেঘনা নিউ টাউন শপিং কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে রাত সাড়ে ১০টায় মার্কেটের সামনে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল। এমন সময় ঢাকা টু মেঘনায় চলাচলরত স্বদেশ পরিবহনের একটি বাস দেখে থামাতে বললে গাড়িটি আরো দ্রুত বেগে ছুটে যেতেই বাস থেকে এক কিশোরীর বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনতে পায়। কিশোরীর চিৎকার শুনে সবাই দৌড়ে গাড়ির সামনে গিয়ে গতিরোধ করে। গাড়ি থামানোর পর স্থানীয় লোকজন ও ব্যবসায়ীরা গাড়িতে উঠে দেখতে পায় হেলপার গাড়ি চালাচ্ছে আর চালক শামীম এক কিশোরী যাত্রীকে বাসের সিটে শুইয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করছে। পরে বাস চালককে মারধর করে সোনারগাঁ থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। এসময় গাড়ি চালক ও স্বদেশ পরিবহনের বাসটি নং- (ঢাকা মেট্টো-ব-১১-৭২৬৫) আটক করে সোনারগাঁ থানায় নিয়ে যায়।

সূত্র জানায়, ওই কিশোরী ঈদের ছুটি শেষে সোনারগাঁ মোগড়াপাড়া থেকে মেঘনা যাওয়ার জন্য স্বদেশ পরিবহনের বাসটিতে উঠে। তখন বাসটির চালক মোগড়াপাড়ায় সব যাত্রীকে নামিয়ে দিলেও তাকে মেঘনায় নামিয়ে দেয়ার আশ্বাস দেয়। কিন্তু বাসের চালক শামীম গাড়ির সিট ঠিক করার কথা বলে হেলপাড়কে গাড়ি চালানোর কথা বলে এবং গাড়ি আস্তে আস্তে চালাতে বলে। একপর্যায়ে গাড়িটি মেঘনা ব্রিজের নিচে নিয়ে ঘুরাতে থাকে আর কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। মেঘনা নিউ টাউনের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন জানান, বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনে আমরা বাসের সামনে মানব দেয়াল তৈরি করি। বাসে উঠে ধর্ষণ চেষ্টাকারী চালককে আটক করি। এ সুযোগে হেলপার পালিয়ে যায়। আমরা আনন্দিত যে অন্তত একটি ধর্ষণ রুখতে পেরেছি। এমনও হতে পারতো ধর্ষণ শেষে মেয়েটিকে হত্যা করে ফেলে যেত।
এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, ধর্ষণের চেষ্টার সময় স্থানীয় জনতা কিশোরীকে রক্ষা করে বাসচালক শামীমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় বাসের চালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় মামলা করা হয়েছে। শামীমকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর