শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে গেছে। তাতে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিতে হয়েছে দুদলকে। এতে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ স্টিভ রোডস। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন চাঁদে মানুষ পাঠাতে পারি। আর বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টে কেন রিজার্ভ ডে রাখতে পারি না। যখন এটা লম্বা একটা টুর্নামেন্ট।’
চলতি বিশ্বকাপে দু’সপ্তাহ না যেতেই, তিনটি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হলো। এর আগে ১৯৯২ ও ২০০৩ বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ২টি করে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছিল এই বৃষ্টির কারণে। সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকা-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের পর টানা দুই ম্যাচ বৃষ্টির কারণে বাতিল।
পাকিস্তান ম্যাচের পর বাংলাদেশ ম্যাচেও বৃষ্টির কারণে বাতিল হলো। প্রথম ৪ ম্যাচের মধ্যে দু’টি ম্যাচেই আবহাওয়ার ভোগান্তিতে পড়ে লঙ্কানরা।
এবারের আসরে ২টি সেমিফাইনাল ও ফাইনালের জন্য অতিরিক্ত দিনের ব্যবস্থা থাকলেও গ্রুপ পর্বের ম্যাচের জন্য কোনও রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। ইংল্যান্ডের গ্রীষ্মের আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা আইসিসির উচিৎ ছিল গ্রুপ পর্বরে ম্যাচগুলোর জন্য রিজার্ভ ডে রাখা, এমনটাই মনে করেন টাইগার কোচ। বাংলাদেশের ইংলিশ কোচ স্টিভ রোডস বলেন, ‘আমি দায়িত্বে থাকলে অবশ্যই রিজার্ভ ডে রাখতাম। কারণ ইংল্যান্ডের আবহাওয়া সম্পর্কে সবারই জানা। দুর্ভাগ্যবশত বিশ্বকাপকে এখনও অনেক বৃষ্টির মোকাবিলা করতে হবে।’ রিজার্ভ ডে রাখাটা বিশ্বকাপ আয়োজকদের জন্য কঠিন তাও মানেন টাইগার কোচ স্টিভ রোডস। তিনি বলেন, ‘আমি জানি এটা করা বিশ্বকাপ আয়োজকদের জন্য জটিল। কিন্তু এতে আমাদের অনেক সময় নষ্ট হচ্ছে। এভাবে খেলা পরিত্যক্ত হওয়ায় সমর্থকরাও হাতাশ হচ্ছে। তারা টিকিট কেটে খেলা দেখতে আসছে। কিন্তু খেলা না দেখেই তাদের ফিরে যেতে হচ্ছে।’
টানা দুই ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়া (পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বিপক্ষে) রিজার্ভ ডে নিয়ে শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নেও স্টিভ রোডসের সঙ্গে একমত। করুণারত্নে বলেন, ‘তারা (বিশ্বকাপ আয়োজক) যদি রিজার্ভ ডে রাখতো তাহলে ভালো হতো। এটা বড় টুর্নামেন্ট, আমরা ৯টা ম্যাচই খেলতে চাইছিলাম। পরের দিনই আরো অন্য ভেন্যুতে যেতে হয়, এটা সত্যি কঠিন। যদি রিজার্ভ ডে রাখা হতো তাহলে অংশগ্রহণকারী সব দলের জন্য ভালো হতো।’