× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অর্থমন্ত্রী, ঘটক এবং গণক

মত-মতান্তর

শামীমুল হক
১৩ জুন ২০১৯, বৃহস্পতিবার

অর্থমন্ত্রীরা আসলে এমনই হয়। তাদের  শ্যেনদৃষ্টির প্রশংসা না করলে কৃপণতা করা হয়। এ হিসাবে প্রথম বাজেটেই চমক দেখিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। তিনি তার পূর্বসূরি আবুল মাল আবদুল মুহিতকে ছাড়িয়ে গেছেন। তাই মনে প্রশ্ন জাগে, এতবড় বিষয়টি এতদিন আড়ালে কীভাবে ছিল? কারও দৃষ্টিই সেদিকে পড়েনি? প্রস্তাবিত বাজেট ঘটক আর গণকের জন্য নিয়ে এসেছে দুঃসংবাদ। তাদের আনা হয়েছে ভ্যাটের আওতায়। প্রস্তাবিত বাজেটে টেলিভিশন ও অনলাইন মাধ্যমে ঘটকালি ও জ্যোতিষী সেবার ওপর মূল্য সংযোজন করের প্রস্তাব করেছেন তিনি। অবশ্যই এ দুটি পেশা লাভজনক।
দু’হাতে কামাই করেন ঘটক আর গণকরা। কোনো কোনো ঘটক আর গণক টিভি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এমনকি গুগলে পর্যন্ত তাদের বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। এত টাকা যাদের আয় তারা সরকারকে কেন কর দেবে না? কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো- এতদিন কেন তারা করের আওতা থেকে বাদ ছিলেন? বিষয়টি সামনে আনায় অর্থমন্ত্রী সাধুবাদ পেতেই পারেন। পাশাপাশি এ খাত থেকে সরকারের রাজস্বও বাড়বে। তবে, কথা রয়ে যায়Ñ কিভাবে তিনি মূল্য সংযোজন কর আদায় করবেন তা খোলাসা করেননি। মন্ত্রী কি শুধুমাত্র রাজধানী কিংবা দেশের বড় বড় শহরে যারা ঘটকালি কিংবা জ্যোতিষী করেন তাদের করের আওতায় আনার কথা বলেছেন? নাকি সারা দেশের গ্রামেগঞ্জে থাকা লাখ লাখ ঘটক ও গণক তাদেরও আনা হবে করের আওতায়? এমনটি হলে এক্ষেত্রে তাদের সরকারিভাবে নিবন্ধিত হতে হবে। নির্দিষ্ট করে দিতে হবে প্রতি ঘটকালিতে তারা কত টাকা নিতে পারবেন। সরকারকে কত দিতে হবে। নিবন্ধন ছাড়া কেউ ঘটকালি করতে পারবে নাÑ এমন আইনও করতে হবে। তাহলেই অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশ্য সফল হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর