× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ছোট মাঠে ‘বড়’ সাকিবের প্রত্যাশা

বাংলাদেশ কর্নার

ইশতিয়াক পারভেজ, টনটন থেকে
১৪ জুন ২০১৯, শুক্রবার

যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। তার বুক চিড়ে এঁকেবেঁকে চলে গেছে আধুনিক কালো পিচের রাস্তা। রিভার টোন নদীর পাশে ছোট্ট শহর টনটন। ওহ! গ্রাম বললেও ভুল হবে না। রাস্তার দুই ধারে বড় বড় সব ফার্ম হাউজ। সেখানেই সমারসেট কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম। যে মাঠে ১৯৮৩ ও ১৯৯৯ বিশ্বকাপেও ম্যাচ হয়েছিল । তবে মাঠ নিয়ে একটাই আলোচনা-সমালোচনা বা বদনাম বললেও ভুল হবে না।
সবাই বলেন, -‘এত ছোট!’ হ্যা, তৃতীয়বারের মতো এত ছোট মাঠেও ইংল্যান্ড আয়োজন করেছে বিশ্বকাপ। বিশেষ করে ক্রিকেটের যেকোনো মাঠে যাদের উড়িয়ে মারার শক্তি আছে তাদের কাছে এটি ভীষণ ছোট মনে হবে। সেখানে সমারসেট স্টেডিয়ামতো তাদের কাছে কিছুই নয়। বিশেষ করে গেইল, রাসেলের মতো ম্যাচ বদলে দেয়ার ক্ষমতা রাখা ক্রিকেটারদের নিয়ে প্রতিপক্ষের ভয় কম নয়। তবে নিজ দলকে কোনো ভাবেই ছোট করে দেখতে চান না ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন। তাই ছোট মাঠে তিনি চান ‘বড়’ সাকিবকে। সুজন বলেন, ‘শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজ না যেকোনো দলই আমাদের জন্য কঠিন। আমাদের অ্যাবিলিটি আছে। সাকিবের একারই অ্যাবিলিটি আছে ম্যাচ জিতিয়ে দেয়ার। তামিম, মুশফিক আছে তারাও সেটি পারে। কঠিন প্রতিপক্ষকে হারিয়েই আমাদের সামনে যেতে হবে। যদি কোয়ালিফাইংয়ে খেলতে চাই। আমরা সেভাবেই প্লান করবো কীভাবে জেতা যায়। উপরের দিকে যেতে হলে কঠিন পথ পেরিয়েই যেতে হবে।’
অন্যদিকে ছোট মাঠে খেলার সমস্যা নিয়ে সামালোচনা হচ্ছে। ইংল্যান্ডে প্রবাসী বাঙালিরা ব্রিস্টলের মাঠ নিয়ে সামালোচনা করেছেন। আর টনটনের ছোট মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল নিয়ে স্থানীয় বাঙালিদের ভয় আরো বেশি। তবে এসব নিয়ে চিন্তিত নয় সুজন। ক্যারিবীয়দের সঙ্গে এখানে দলের পাল্লা দেয়ার ক্ষমতা আছে বলেই মনে করেন তিনি। তার মতে বড় কিছু ভেবেই মাঠে নামতে হবে। তিনি বলেন, ‘এটা তো ক্রিকেট খেলায় থাকবেই। এটাতো সবার জন্যই সমান। মাঠ ওদের জন্য যতটুক আমাদের জন্যও ততটুক। ওদের পাওয়ার হিটার আছে আমরা জানি। জোরে বোলারও আছে। আমার মনে হয় আমরা এই ব্যাপারে সজাগ, সচেতন। জানি কীভাবে মোকাবেলা করতে হবে। চেষ্টা করবো মানিয়ে নিতে। অ্যাপ্লিকেশনটা গুরুত্বপূর্ণ হবে, এক্সিকিউশনটা আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হবে।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাকিস্তান এই মাঠে হেরেছে গতকাল। বেশ সংগ্রামই করতে হয়েছে পাকিস্তানকে। উইকেটেও ঘাস ছিল। তার মানে এখানে পেসারদের থাকবে রাজত্ব। কিন্তু টাইগারদের পেস আক্রমণের ধার নিয়ে আছে বেশ প্রশ্ন। রুবেলকে খেলানো হয়নি এখনো। মোস্তাফিজ তার শতভাগ দিতে পারছে না। এমন অবস্থায় বোলিংয়েও থাকছে শঙ্কা। এ বিষয়ে সুজন বলেন, ‘এক্সপ্রেস বোলার নেই এটা টু আর্লি টু সে। কে খেলবে না খেলবে। মাঠ দেখে, উইকেট দেখে তারপরে বলা যাবে। আজকের ম্যাচে যেমন উইকেট ছিল আমাদের ম্যাচে এই উইকেট থাকবে কী না সবকিছু নির্ভর করবে ১৭ তারিখ উইকেট দেখার পর। তারপরেও বলব আমাদের বোলার মাশরাফি, সাইফুদ্দিন, মোস্তাফিজ যারা খেলছে তিনজনই ভালো করছে সত্যি কথা বলতে গেলে। রুবেল আনলাকি যে খেলতে পারছে না। প্রয়োজন পড়লে তো খেলাতেই হবে।’ আজ থেকে সমারসেট কাউন্টি স্টেডিয়ামে শুরু হবে বাংলাদেশের অনুশীলন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর