সুইজারল্যান্ডজুড়ে বিক্ষোভে নেমেছে নারীরা। সমতার দাবিতে শুক্রবার কর্মস্থল থেকে বেরিয়ে গেছে দেশজুড়ে অসংখ্য নারী। পুড়িয়ে দিচ্ছে অন্তর্বাস। অনেকে মিছিলে অংশ দিচ্ছেন, কোথাও দলবদ্ধভাবে হচ্ছে পদযাত্রা। পুরুষ সহকর্মীদের সমান বেতন এবং যৌন হয়রানি ও সহিংসতার অবসানের দাবি জানিয়ে এই বিক্ষোভ করছে তারা। দেশটির বিগত ২৮ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম এমন কোনো বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে সেখানে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি ও বিবিসি।
কর্মস্থলে পুরুষদের প্রাধান্য ও অসমতাই নারীদের এই বিক্ষোভের প্রধান ইস্যু। বিক্ষোভকারীদের অনেকে গৃহকর্মী, শিক্ষক ও নারী প্রধান কাজের বেতন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
শুক্রবার মধ্যরাত থেকেই বিক্ষোভ শুরু হয়। লোজান শহরের প্রধান গির্জার সামনে থেকে মধ্যরাতে বিক্ষোভকারীদের একটি দল পদযাত্রা করে, কাঠের টুকরা দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে তাতে ‘নেকটাই ও অন্তর্বাস পোড়ায়’।
এর আগে ১৯৯১ সালে এত বড় মাপের নারী বিক্ষোভ দেখেছিল সুইজারল্যান্ড। সে সময় প্রায় পাঁচ লাখ নারী নেমে এসেছিল রাস্তায়। বহু আগ থেকেই পুরুষদের সমান অধিকার চেয়ে আসছে সুইজারল্যান্ডের নারীরা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরপরই ইউরোপের অন্যান্য দেশের নারীদের মতো তারাও ভোটের অধিকার চেয়ে আন্দোলন করে। তবে, তারা সে অধিকার পায় ১৯৭১ সালে। ১৯৯১ সালের বিক্ষোভের সময় সুইজারল্যান্ডের কোনো সরকারি পদে নারীরা নিয়োজিত ছিলেন না। এমনকি মাতৃকালীন ছুটিও সরকারিভাবে দেয়া হতো না। বিক্ষোভের আয়োজকরা বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের স্টোর থেকে কোনোকিছু না কেনার, রেস্টুরেন্টে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। যাতে তাদের বিক্ষোভ অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়। এদিকে, কিছু প্রতিষ্ঠান এই বিক্ষোভের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। বাসেল শহরের সবচেয়ে উঁচু ভবন দ্য রচে টাওয়ার বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভবনজুড়ে বিক্ষোভের লোগো প্রদর্শন করেছে।