বিশ্বকাপে ১০ দলের মধ্যে কাগজে-কলমে সবচেয়ে দুর্বল আফগানিস্তান। আফগানদের পরই শ্রীলঙ্কা। আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে নবম স্থানে থাকা লঙ্কানদের ব্যাটিং লাইনআপ সাদামাটা। এখন পর্যন্ত ২ ম্যাচের কোনোটিতেই ৫০ ওভার ব্যাট করতে পারেনি তারা। আর অলস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে বলেন, ‘অন্য দলগুলোর তুলনায় আমাদের দলে প্রতিভা অনেক কম। ভারতের কথাই ধরুন, ওদের এমন একজন ব্যাটসম্যান আছে (বিরাট কোহলি) যে প্রায় প্রতি ম্যাচেই সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারে। আর আমাদের দলে সারা বছর হাতেগোনা দু-একজন সেঞ্চুরি পায়।’ বছর পাঁচেক আগেও ভারত-শ্রীলঙ্কার পার্থক্য ছিল ঊনিশ-বিশ। কিন্তু কুমার সাঙ্গাকার-মাহেলা জয়ার্ধনের মতো কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটারের অবসরের পর একেবারে দুর্বল হয়ে পড়েছে লঙ্কানরা।
দীর্ঘদিন ধরে কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজ কিংবা টুর্নামেন্ট জেতেনি শ্রীলঙ্কা। গত এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কা প্রত্যেকটি ম্যাচটি হেরেছে। অথচ এই টুর্নামেন্টে তারা দ্বিতীয় সর্বাধিক (৫) শিরোপাজয়ী দল। করুণারত্নে বলেন, ‘ওদের (ভারত) ফাস্ট-বোলাররা ১৪০ কি.মি গতিতে বল করতে পারে। আমাদের পেসারদের গতি ১৩০-১৩৫ কি.মি’র মধ্যে সীমাবদ্ধ। আমরা ভারতের মতো দলের সঙ্গে নিজেদের তুলনা করতে পারি না। নিজেদের সীমাবদ্ধতার ভেতরই কাজ করতে হবে। আমাদের নিজস্ব রিদম রয়েছে। যদি স্মার্ট ক্রিকেট খেলতে পারি, তবে এই সামর্থ্য দিয়েই আমরা যে কোনো দলকে হারাতে পারি।’ নিজেদের দিনে তারা আসলেই যে কাউকে হারিয়ে দিতে পারে। গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ওভালে ভারতের বর্তমান দলে বিপক্ষেই ৩২১ রান তাড়া করে ৭ উইকেটে জিতেছিল শ্রীলঙ্কা।