এবারের বিশ্বকাপে বৃষ্টির জন্য পণ্ড হয়েছে মোট ৪টি ম্যাচ। যার মধ্যে তিন ম্যাচে টসই হয়নি। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচটিও পরিত্যক্ত হয়েছে টস ছাড়াই। বৃষ্টি নিয়ে বাংলাদেশের হতাশা বাড়তে পারে আরো। বাংলাদেশের বাকি ম্যাচেও বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম বাংলাদেশ (১৭ জুন, বিকাল ৩:৩০, টনটন)
সমারসেটের টনটনে এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে ম্যাচ হয়েছে একটিই। অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান ম্যাচে বৃষ্টি বাগড়া না দিলেও পুরোটা সময়ই মেঘলা ছিল টনটনের আকাশ। আগামী সপ্তাহেও টনটনে বৃষ্টি হওয়ার জোর সম্ভাবনাই জানাচ্ছে আবহাওয়ার পূর্বাভাস। ম্যাচের দিন আগামী সোমবার তাপমাত্রা থাকবে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বৃষ্টির সম্ভাবনা শতকরা ৬৪ ভাগ।
সেক্ষেত্রে হয়তো ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কম, কার্টেল ওভারে খেলা হওয়ার কথা সেক্ষেত্রে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কার্টেল ওভারের সুখস্মৃতিই আছে বাংলাদেশের। আয়ারল্যান্ডের মাঠে উইন্ডিজদের হারিয়ে প্রথমবারের ত্রিদেশীয় শিরোপা জয়ের ফাইনালেও বাধা দিয়েছিল বৃষ্টি। শেষ পর্যন্ত মোসাদ্দেক জাদুতে হেসেছিল টাইগাররাই।
অস্ট্রেলিয়া বনাম বাংলাদেশ (২০ জুন, বিকাল ৩.৩০, ট্রেন্টব্রিজ)
টেন্টব্রিজে এখনও খেলা হয়নি বাংলাদেশের। নটিংহামের এই মাঠে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ২০শে জুনের ম্যাচে বৃষ্টির সম্ভাবনা ৪০ ভাগ। কিন্তু তাই বলে বৃষ্টির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না পুরোপুরিভাবে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, কিছুটা হলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে সেদিন। ট্রেন্টব্রিজে তাই বৃষ্টি বাগড়া দিলেও খেলা ভেসে যাওয়ার সম্ভাবনা কম।
বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান (২৪ জুন, বিকাল ৩.৩০, সাউদাম্পটন)
সাউদাম্পটনে বৃষ্টির কারণে একটি বলও গড়ায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে। তবে এখন পর্যন্ত ২৪ তারিখের ম্যাচে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। বিশ্বকাপে এখনও জয়ের মুখ না দেখা আফগানদের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই। সাউদাম্পটনে আরও একটি সুসংবাদ আছে বাংলাদেশের জন্য। সেদিন তাপমাত্রাও থাকবে কিছুটা বেশি। ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসটাও তাই সাকিব-মুশফিকদের জন্য কিছুটা স্বস্তিজনকই বলা চলে।