× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কয়েক বছর ধরে অবাস্তব সংখ্যার বাজেট পাস হচ্ছে -আকবর আলি খান

দেশ বিদেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
১৫ জুন ২০১৯, শনিবার

গত কয়েক বছর ধরে অবাস্তব সংখ্যার বাজেট পাস করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান। বলেন, বাজেটে আয়-ব্যয়ের যে সংখ্যা বলা হচ্ছে, তা অর্জন হবে না। আর সমস্যা হলো, এই সংখ্যাগুলো কতটা বাস্তব। বাজেট যখন সংসদে পেশ হবে, তখন সংখ্যাগুলো বাস্তব হওয়া উচিত। গতকাল রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক ইন সেন্টারে ব্র্যাক বিজনেস স্কুল আয়োজিত বাজেট প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আকবর আলি খান বলেন, সংসদে বাজেট নিয়ে কোনো আলোচনা হবে না। এমন কোনো সংসদ সদস্য পাওয়া যাবে না, যিনি এই বাজেটের পুরোটাই পড়বেন। প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদ নিয়ে অর্থমন্ত্রী যে বাজেট উপস্থাপন করেন, তাই অনুমোদন হবে।
অথচ আমাদের সংবিধানে বলা হয়েছে, প্রতিনিধির মতামত ছাড়া কোনো কর আরোপ করা যাবে না। তাহলে খরচের ওপরও নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে। আমাদের কর আরোপ, খরচ কোনো কিছুতেই প্রতিনিধিদের মতামত নেয়া হচ্ছে না।
আকবর আলি খান বলেন, বাজেটের আকার প্রতিবছর বাড়ছে। সক্ষমতার ঘাটতির মাত্রা বাড়ছে। বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতা ক্রমশ দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়ে উঠছে। আগামী অর্থবছরেও এ ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে। তিনি বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনের বার্ষিক গড় হার কমে আসছে। এ অনাকাঙিক্ষত অবস্থা থেকে কীভাবে উত্তরণ হবে, তার কোনো ঘোষণা নেই। আবার আঞ্চলিক বৈষম্যও প্রকট। অনেক জেলায় ৫০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে। এ বৈষম্য দূর করতে কোনো উদ্যোগ বাজেটে নেই।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, বাজেটের আকার প্রতি বছর বাড়ছে। সক্ষমতার ঘাটতির মাত্রা বাড়ছে। বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতা ক্রমশ দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়ে উঠছে। আগামী অর্থবছরেও এ ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে। ২০০৮ সালে জিডিপির অনুপাতে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ যা হয়েছে, গত বছর তা খুব বেশি বাড়েনি। এর কারণ জ্বালানি স্বল্পতা, দুর্নীতি অদক্ষতা, সুশাসনের অভাব, ব্যবসায় সহজীকরণে পিছিয়ে থাকা। এ নিয়ে বাজেটে তেমন কোনো ঘোষণা নেই। মির্জ্জা আজিজ বলেন, ব্যাংক কমিশন ও আইন সংস্কারের চেয়ে বেশি প্রয়োজন আইনের যথাযথ প্রয়োগ। এখন অর্থঋণ আদালতে অনেক টাকার মামলা আটকে গেছে। এর সমাধান না করতে পারলে সমস্যা কাটবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাজেটের চ্যালেঞ্জ হলো সমতাভিত্তিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা। যেভাবে আয় বৈষম্য বাড়ছে, সেখানে প্রবৃদ্ধি হয়ে কী হবে। পাকিস্তান আমলে ছিল, আগে প্রবৃদ্ধি পরে বিতরণ। এই বাজেটে মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্তরা চাপে পড়ে যাবে। এটা কিছুদিন পরই বোঝা যাবে।
আইপিডিসি ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মমিনুল ইসলাম বলেন, আমদানি কমাতে বিলাসজাত পণ্যের ওপর কর আরোপ করা যেত, সেটা হয়নি। আমরা এখন আর্থিক খাত নিয়ে সমস্যায় থাকলেও দীর্ঘ মেয়াদে শিক্ষার মান নিয়ে সমস্যায় পড়ব। কারণ চতুর্থ শিল্পবিপ্লব চলছে। ফলে, যে মানের লোকবল প্রয়োজন হবে, আমরা তা গড়ে তুলছি না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর