ইয়াবার চালান নিতে টেকনাফে গিয়ে নারায়ণগঞ্জের যুবক রাসেল মাহমুদ (৩৬) পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা গেছে। শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের দৈংগাকাটা পাহাড়ের কোলে এ ‘গোলাগুলি’র ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, এ সময় একটি দেশীয় তৈরি এলজি, ৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ৯ রাউন্ড খালি খোসা ও ৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত রাসেল মাহমুদ নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার উত্তর লক্ষনঘোনা এলাকার ফয়েজ আহমদের ছেলে।
টেকনাফ থানা পুলিশের ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, নারায়ণগঞ্জ থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। আর রাসেল ইয়াবার চালান নিতেই টেকনাফ এসেছিলেন।
ওসি প্রদীপ কুমার দাশ অভিযান সম্বন্ধে জানান, শীর্ষ মাদক কারবারি হোয়াইক্যং ইউনিয়নের দৈংগাকাটা এলাকার আমীর হামজাকে ধরতে শুক্রবার রাত ১২টার দিকে অভিযান চালায় পুলিশ। ওই এলাকার উজাইঅং চাকমার পাহাড়ের পাশে পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পায় তারা। গুলি ছোঁড়ে অস্ত্রধারী দুষ্কৃতকারীরা।
আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। এসময় আহত হন পুলিশের এসআই বেরাহান, কনস্টেবল হাবিব, সজীব এবং তুহিন।
পরে গুলিবিদ্ধ এক যুবককে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ। তাকে উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপে¬ক্স হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে নেয়া হয় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, যুবকের পকেটে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে জানা যায় তিনি নারায়ণগঞ্জের রাসেল মাহমুদ। তার ধারণা, নিহত রাসেল টেকনাফের ইয়াবা ব্যবসায়ী আমির হামজার কাছ থেকে ইয়াবা কিনে চালানটি নারায়ণগঞ্জ নিতে টেকনাফে আসেন।