× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নানা সমস্যায় জর্জরিত বড়লেখা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত

বাংলারজমিন

মো. রুয়েল কামাল, বড়লেখা (মৌলভীবাজার) থেকে
১৬ জুন ২০১৯, রবিবার

মৌলভীবাজারের বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতটি নানা সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে পরিচালিত হচ্ছে। ভবনের ছাদ ড্যামেজ হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন কক্ষে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করে জরুরি নথিপত্র ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। এ আদালতে প্রস্রাব পায়খানার কোনো নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় এখানে আসা বিচারপ্রার্থী পুরুষ, মহিলাদের সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়তে হয়। এছাড়া আইনজীবী ও আইনজীবীর সহকারীদের ভাড়া ঘরে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়। সরজমিনে, কোর্টে গিয়ে ভুক্তভোগি, আইনজীবী ও আইনজীবী সহকারী সূত্রে জানা যায়, বড়লেখা উপজেলায় ৫ লক্ষাধিক জনসাধারণের বসবাস রয়েছে। এখানকার মানুষ বিভিন্ন সমস্যায় মামলা মোকদ্দমা করতে বড়লেখার এ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসেন। বড়লেখা কোর্টের এপিপি এড. গোপাল চন্দ্র দত্ত, এড. জিল্লুর রহমান আইনজীবী সহকারী সমিতির সভাপতি সেলিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, ভুক্তভোগী শাহাব উদ্দিন, ব্যবসায়ী আব্দুল মালিকসহ অনেকেই জানান, এ আদালতটি ১৯৮২ সালে তৎকালীন জাতীয় পার্টির এরশাদ সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই আদালত ভবনটি নির্মাণ করা হয়। এর পর থেকে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়।
দীর্ঘদিনের পুরনো ভবনটির বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেওয়ায় ফলে বর্তমানে প্রায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ভবনের ছাদ ডেমারেজ হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন কক্ষে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করে জরুরি নথিপত্র ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। আদালতের আইনজীবীদের বসার জন্য কোনো বার ভবন না থাকায় আদালতের একটি ছোট্ট কক্ষে গাদাগাদি করে বসতে হয়। তাছাড়া আইনজীবী সহকারীদেরও কোনো শেড না থাকায় কোর্ট সংলগ্ন ভাড়া করা রুমে বসেই তাদের কার্যক্রম করতে হচ্ছে। বড়লেখা কোর্টে নিযুক্ত কোর্ট সাব-ইন্সপেক্টর (সিএসআই)দের বসার জন্য  নির্ধারিত কোনো স্থান নেই। এ আদালতে প্রস্রাব-পায়খানার কোনো নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় এখানে আসা বিচারপ্রার্থী পুরুষ, মহিলাদের সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়তে হয়। এছাড়া আদালতের আটককৃত আসামিদের মৌলভীবাজার জেলা কারাগারে পাঠানোর জন্য নেই কোনো সরকারি পরিবহন। পাবলিক পরিবহনে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যেই আসামিদের পরিবহন করা হয়। অত্যন্ত নোংরা, দুর্গন্ধযুক্ত স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে কাস্টডিতে আসামিদের রাখা হয়। কোর্ট পুলিশদের থাকার জায়গার সংকটের কারণে ছোট্ট একটি কক্ষে সকলকে গাদাগাদি করে থাকতে হয়। কোর্ট শুরুর কয়েকদিন দেওয়ানী মামলার কার্যক্রম পরিচালিত হলেও বর্তমানে দেওয়ানী আদালত মৌলভীবাজারে স্থানান্তরিত হয়েছে। মৌলভীবাজারে দেওয়ানী আদালত স্থানান্তর হওয়ায় ফলে বিচারপ্রার্থী জনগণকে বিচারের জন্য প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরবর্তী জেলা সদরে যেতে হয়। বড়লেখার ভুক্তভোগী  জনসাধারণের দাবি আগের ন্যায় আবারো দেওয়ানী আদালতকে বড়লেখায় নিয়ে আসার। এতে করে বিচারপ্রার্থী জনসাধারণের সময়, শ্রম ও টাকা সাশ্রয় হবে বলে অনেকে জানান। এ ব্যাপারে তারা আইনমন্ত্রী, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বর্তমান সরকারের বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী আলহাজ শাহাব উদ্দিনসহ সংশ্রিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর