কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পাঁচোড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত হেবজু মিয়ার বিধবা স্ত্রী তার সন্তানদের আবাসনের জন্য সরকারের নিকট একখণ্ড জমি চেয়েছেন। হেবজু মিয়ার পরিবারের মাথাগোজার ঠাঁই নেই। তার রেখে যাওয়া সামান্য ভূমির ছোট একটি জরাজীর্ণ ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বিধবা স্ত্রী ও তিন ছেলের পরিবার। ভূমিহীন ওই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটির আবাসন সমস্যার সমাধানে তাদের নামে একখণ্ড জমি দেয়ার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার লোকজন সরকারের নিকট দাবি জানিয়েছেন।
জানা যায়, বুড়িচং উপজেলার ১নং রাজাপুর ইউনিয়নের পাঁচোড়া গ্রামের হেবজু মিয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক ছিলেন এবং তিনি ৮নং সেক্টরে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৮৫ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন এবং ১৯৯৩ সালের ৩১শে মার্চ স্ত্রী ও তিন ছেলে রেখে মৃত্যুবরণ করেন। তার রেখে যাওয়া মাত্র আড়াই শতকের ভিটেবাড়ির একটি ঘরে স্ত্রী ও ছেলেদের পরিবার নিয়ে বসবাসের ক্ষেত্রে খুব কষ্ট পেতে হচ্ছে। তার বড় ছেলে সাইফুল ইসলাম ১০ বছর আগে দুবাই যাওয়ার পর আজও নিখোঁজ, সে বেঁচে আছে কি না তাও পরিবারের লোকজন জানেন না। তার স্ত্রী ও এক ছেলে রয়েছে।
দ্বিতীয় ছেলে জয়নাল আবেদীন সামান্য বেতনে চাঁদপুরে চাকরি করেন, তার স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। ছোট ছেলে মো. শরীফ শ্রমিক। হেবজু মিয়ার বিধবা স্ত্রী নুরনাহার বেগম জানান, ছেলেদের পরিবার নিয়ে বসবাসের জন্য বাড়ি নির্মাণ করার মতো জায়গা ও সামর্থ্য নেই। জরাজীর্ণ ছোট ঘরে সবার স্থান সংকুলান হয় না। তাই বেশিরভাগ সময় ছেলের কর্মস্থলের ভাড়া বাসায় থাকতে হয়। স্বামীর মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাচ্ছি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে একখণ্ড জমি পেলে ছেলেদের মাথাগোজার ঠাঁই হতো। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা জানান, এ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি আর্থিকভাবে অসচ্ছল। আবাসনের জন্য বাড়ি কিংবা কোনো ঋণ সুবিধাও পায়নি। এ পরিবারের আবাসনের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ সরকারের নিকট
দাবি জানাচ্ছি।