× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নারায়ণগঞ্জের যুবক নিহত

বাংলারজমিন

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
১৬ জুন ২০১৯, রবিবার

 ইয়াবার চালান নিতে টেকনাফ এসে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে মারা গেছেন রাসেল মাহমুদ (৩৬) নামে নারায়ণগঞ্জের এক যুবক। শনিবার ১৫ই জুন রাত দেড়টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের দৈংগাকাটা পাহাড়ের পাশে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এসময় একটি দেশীয় তৈরি এলজি, ৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। নিহত রাসেল মাহমুদ নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার উত্তর লক্ষণঘোনা এলাকার ফয়েজ আহমদের ছেলে। তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। ইয়াবার চালান নিতেই রাসেল টেকনাফ এসেছিল বলেও দাবি করেছেন ওসি।                 
ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, শীর্ষ মাদক কারবারি হোয়াইক্যং ইউনিয়নের দৈংগাকাটা এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আমীর হামজাকে ধরতে শুক্রবার রাত ১২টার দিকে অভিযান চালায় পুলিশ। ওই এলাকার উজাইঅং চাকমার পাহাড়ের পাশে পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অস্ত্রধারী দুষ্কৃতকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে।
এতে পুলিশের এসআই বোরাহান, কনস্টেবল হাবিব, সজীব এবং তুহিন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।
পরে দুষ্কৃতকারীরা গুলি করতে করতে পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক যুবককে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে প্রথমে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওসি আরো বলেন, যুবকের পকেটে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে তাকে নারায়ণগঞ্জের রাসেল মাহমুদ বলে শনাক্ত করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশি এলজি, ৫ হাজার পিস ইয়াবা, ৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও ৯ রাউন্ড খালি খোসা উদ্ধার করা হয়। ওসির ধারণা, নিহত রাসেল টেকনাফের ইয়াবা ব্যবসায়ী আমির হামজার কাছ থেকে ইয়াবা কিনে চালানটি নারায়ণগঞ্জ নিতে টেকনাফে আসে। সিডিএমএস পর্যালোচনা করে নিহত রাসেল মাহমুদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানায় কয়েকটি মাদক মামলার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। ময়নাতদন্তের জন্য রাসেলের মরদেহ কক্সবাজার জেলা হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় পৃথক আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন ওসি।



অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর