× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সুধারামে গৃহবধূ গণধর্ষণ, মামলা নিয়ে টালবাহানা

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে
১৬ জুন ২০১৯, রবিবার

সুধারামে এওজবালিয়া ই্‌উপির চর উরিয়া গ্রামের গৃহবধূকে ধর্ষণের ৬ দিন পরও মামলা রেকর্ড  হয়নি সুধারাম থানায়। উল্টো ধর্ষিতার বিরুদ্ধে একই থানায় সাধারণ ডায়েরি করে ধর্ষিতা ও তার মা বোনকে এলাকা ছাড় করার হুমকি দিচ্ছে ধর্ষকরা। এলাকাবাসী জানায়, গতকাল উপ-পুলিশ পরিদর্শক সুধন চন্দ্র দাস ধর্ষিতার বিরুদ্ধে জিডি তদন্ত করেছেন। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ২নং গাইনী ওয়ার্ডের ২নং বেডে চিকিৎসাধীন ধর্ষিতা গৃহবধূ জানান, ৯ই জুন ঢাকা থেকে সোনাপুর বাসস্ট্যান্ডে নামলে তার দুই প্রতিবেশী সিরাজ ও আজিজুল তাকে রিকশায় করে নিয়ে তাদের বাড়ির পিছনের বাগান বাড়ির পরিত্যক্ত টিনের ঘরে নেশাযুক্ত শরবত খাইয়ে অজ্ঞান করে গণধর্ষণ করে। ১০ই জুন সে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন থাকে। ওই দিনই সুধারাম থানার দু’জন পুলিশ কর্মকর্তা তাকে দেখে যান এবং মামলা করার আশ্বাস দেন। কিন্তু ৪ দিন পরও কোন মামলা না নেয়ায় গত বৃহস্পতিবার ভিকটিম রেহানা আক্তার ১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর এখনও সুধারাম থানায় তার মামলা রেকর্ড করা হয়নি এবং কোন পুলিশ অফিসার তার সাথে যোগাযোগ করেনি।
এদিকে উল্টো তাকে ধর্ষক সিরাজুলরা তার বিরুদ্ধে সুধারাম থানায় সাধারণ ডায়েরি করে তাকে সহ তার পরিবারকে এলাকা ছাড়ার পাঁয়তারা করছে। ধর্ষিতা জানায়, ধর্ষকদের ২/৩ জন থানার আশেপাশে ঘোরাঘুরি করলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না। এ ব্যাপারে সুধারাম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বলেন, মামলাটির তদন্ত চলছে। তদন্ত করে দেখা হবে এবং ধর্ষকদের জিডির কথা স্বীকার করে সে জানায়, যেকোনো নাগরিক থানায় জিডি করতে চাইলে থানা তা গ্রহণ করতে বাধ্য। ধর্ষিতার মামলা ও রেকর্ড করতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দিক নির্দেশনা ও হাইকোর্টের রুলিং থাকলে তা কেন ৬০ ঘণ্টা পরও রেকর্ড করা হয়নি জিজ্ঞাসা করলে পুলিশ পরিদর্শক আবদুল বাতেন মৃধা কোনো জবাব না দিয়ে বলেন, তিনি মিটিংএ আছেন।  জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দিপক জ্যোতি খিসা বলেন, তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। ধর্ষিতার মা জানান, অত্যাচারীরা তাদেরকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ ও এলাকা ছাড়া করার জন্য হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। সে তার মেয়ের অত্যাচারের বিচারের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর