× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘টনটনের সেই গাঙ্গুলী হতে চাই’

ইংল্যান্ড থেকে

স্পোর্টস রিপোর্টার, টনটন থেকে
১৬ জুন ২০১৯, রবিবার

চারপাশে শুধু সবুজ আর সবুজ। তার মাঝে ছবির মত সৌন্দর্য  নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সমারসেট স্টেডিয়াম। ছোট মাঠের সমালোচনা পিছনে ফেলে এই গ্রাউন্ড এখন ছড়াচ্ছে শুধুই মুগ্ধতা। এই স্টেডিয়ামেই ১৯৮৩ বিশ্বকাপে ইংলিশ ব্যাটসম্যান ডেভিড গাওয়ার খেলেছিলেন ১৩০ রানের ইনিংস। তারপরও  ১৯৯৯এ বিশ্বকাপেই শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়েছিল এই মাঠে। সেখানে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারতের সাবেক অধিনায়ক আরেক বাঁহাতি ব্যাটসম্যান সৌরভ গাঙ্গুলী ওপেন করতে নেমে খেলেছিলেন ১৮৩ রানের দারুণ এক ইনিংস। ২০ বছর পর যা বাংলাদেশের সেরা ওপেনার তামিম ইকবালের জন্য অনুপ্রেরণার নাম। হ্যা, বিশ্বকাপে নিজের বদনাম পিছে  ফেলে  সেঞ্চুরি করে  গাঙ্গুলীর সেই স্মৃতিতে ফেরাতে চান টাইগারদের বাঁহাতি ব্যাটিং শক্তি তামিম।
সেই সঙ্গে নিজেদেরকে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ফেভারিট মনে করেই মাঠে নামতে চান তিনি। তার কথোপকথনের মূল অংশ তুলে ধরা হলো-
প্রশ্ন: বাঁহাতি ডেভিড গাওয়ার ও সৌরভ এই মাঠে সেঞ্চুরি করেছেন সেই হিসেবে আপনার কী আশা?
তামিম: আশা তো করি। কেন আমি করতে পারবো না! এখানে আমিও কখনো খেলিনি। তবে শুনেছি ব্যাটিং স্বর্গ। উইকেট ওরা একটু ভিন্নভাবে বানাচ্ছে। সবশেষ খেলা অস্ট্রেলিয়া পাকিস্তানের সঙ্গে দেখেন বোলারদের হেল্প ছিল। ওয়েদারও ব্যাটিং বান্ধব ছিল না। যে উইকেট কন্ডিশন থাকুক, আমাকে তৈরি থাকতে হবে।
প্রশ্ন:  নিজেদের ফেভারিট মনে করেন কি?
তামিম: অবশ্যই। কেন না! সম্প্রতি ওদের সঙ্গে যদি হিসেব করেন আমরাই বেশি জিতেছি। আমরা ফেভারিট হতেই পারি। কারণ আয়ারল্যান্ডে আমরা ওদের সাথে সবক’টি ম্যাচই জিতেছি। তবে কে ফেভারিট আর কে ফেভারিট না এটা ম্যাটার করে না। ক্রিকেট খেলাটাই এমন ওই নির্দিষ্ট দিনে যারা ভালো খেলবে তাদেরই সুযোগ থাকবে। পুরো বিশ্বকাপে যে কোন দলের সঙ্গেই এটা হতে পারে। যদি আপনি বিশ্বকাপে ওদের খেলা দেখেন প্রথম দুটা ম্যাচে যেখাবে খেলেছে ওদের দেখে মনে হয়নি এটা ছয় মাস আগের সেই দল। আমাদের খেলাও দেখেন, আমরা যেভাবে শুরুর দুই ম্যাচ খেলেছি আমাদেরও ভিন্ন দেখাচ্ছিল। এই কন্ডিশনে এসে আমরা বিশ্বসেরা দলগুলোর বিপক্ষে খেলছি। কন্ডিশন আমাদের পক্ষে ছিল না কিন্তু তারপরেও ভালো খেলেছি। তবে আমার মনে হচ্ছে ১৭ জুন একটি ভালো ম্যাচ হবে।
প্রশ্ন: ছোট মাঠে ব্যাটসম্যান হিসেবে বাড়তি দায়িত্ব  পেয়েছেন কি?
তামিম: ছোট মাঠে বাড়তি কোনো অ্যাসাইনমেন্ট, আমার কাছে মনে হয় যদি আপনি ফর্মে না থাকেন যত ছোট মাঠই হোক না কেন বড় হয়ে যায়। আর যদি ফর্মে থাকেন যতই বড় মাঠ থাকুক যেন ছোট হয়ে যায়, এটা নিয়ে ভাবার কিছু নেই। আমরা জানি যে ওদের পাওয়ার হিটার আছে। আর ওরা নরমালি যখন ছয় মারে যে কোন মাঠেই ৬ হয়ে যায়। এসব না ভেবে আমার কাছে মনে হয় যেসব পরিকল্পনা আমাদের দেয়া হবে, ওটাতে যদি ফোকাস থাকি সেটাই ভালো।
প্রশ্ন: সেমিফাইনালের হিসাব নিয়ে ভাবনা?
তামিম: কয়টা জিততে হবে আর কয়টা জিতলে আমরা সেমিফাইনালে উঠব, সত্যি কথা এভাবে আমরা কেউ ভাবছি না। আমাদের শেষ ম্যাচ (শ্রীলঙ্কা) হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। খেলাটা হলে আমরা  যদি জিততে পারতাম তাহলে অবশ্যই আমাদের জন্য ভালো হতো। কিন্তু ৫ তারিখের আগে (৫ই জুলাই বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ) কি হবে না হবে সত্যি কথা এভাবে আমরা কেউ ভাবছি না।’
প্রশ্নে: কঠিন পরিস্থিতিতে দলের এই মুহূর্তে ভাবনা কী?
তামিম: আমাদের আরো ৫টা খেলা বাকি আছে। বলতে পারেন প্রতি ম্যাচ নিয়েই ভাবছি। কারণ ব্যাক অব দ্য মাইন্ডে আমরা জানি এই ৫টার মধ্যে অধিকাংশই জিততে হবে যদি আমরা শেষ চারে যেতে চাই। আগেই যদি ফিনিশ লাইনটা দেখে নেই তাহলে আমার মনে হয় না এটা ভালো কোনো আইডিয়া।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর