× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মাশরাফির সমালোচকদের কড়া জবাব দিলেন তামিম

ইংল্যান্ড থেকে

ইশতিয়াক পারভেজ,টনটন থেকে
১৬ জুন ২০১৯, রবিবার

টনটনের শান্ত প্রকৃতিতে উত্তাপ ছড়াচ্ছে বিশ্বকাপ ক্রিকেট। মাঠে, বাইরে সর্বত্রই আলোচনা শুধু ক্রিকেট নিয়েই। বিশেষ করে বাংলাদেশ দল এই শহরে আসার পর থেকে ছড়িয়ে যাচ্ছে উত্তাপ। গতকাল সবুজে ঘেরা সমারসেট কাউন্টি গ্রাউন্ডে শান্ত পরিবেশ হঠাৎ করেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ক্ষুব্ধ তামিম ইকবালের প্রতিক্রিয়াতে। কেন তামিম এমন আবেগে কেঁপে উঠলেন!  রেগে গেলেন ভীষণ? অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে নিয়ে সমালোকদের বিরুদ্ধেই তার এই ক্ষোভ আর রাগ। কেনই বা রাগবেন না, ২০১৪ তে যখন বাংলাদেশ দলের পিঠ দেয়ালে ঠেকেছিল। র‌্যাঙ্কিংয়ের কারণে ছিল ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে  না খেলতে পারার শঙ্কা। সেই সঙ্গে ২০১৯ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে না পারার ভয় উঁকিঝুকি মারছে ঠিক তখনই দলের হাল ধরেন ইনজুরিকে আজীবনের সঙ্গী বানিয়ে নেয়া মাশরাফি বিন মুর্তজা।
তার হাত ধরেই ২০১৫ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল, চ্যাম্পিয়ান্স ট্রফিতে সেমিফাইনালে খেলা এমনকি ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সুযোগ পেয়েছে টাইগাররা। সেই অধিনায়কের মাত্র ৩টি ম্যাচের পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনায় মুখর নিন্দুকেরা। নিন্দুকদের কেউ কেউ বলছেন ‘লেংড়া ঘোড়া বাংলাদেশ দলে আর চলে না।’ এতে দলের প্রতিটি সদস্যই ভীষণ ক্ষুব্ধ। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তামিমের বার্তায়।

মাশরাফির সমালোচকদের তামিম বলেন, ‘কথাটা বলে কারা সেটা গুরুত্বপূর্ণ। কারা কথা বলছে? আমি আমার কথা বাদ দেই। আমি মাশরাফী ভাইয়ের কথাই বলি। আমি কোনো একটা সাক্ষাৎকারে বলছিলাম, ধরেন যারা এই কথাটা লিখছে বা যারা এই আলোচনা করছে তারা যদি ওই লেখাটা লেখার আগে বা ওই কথাটা বলার আগে দুইটা মিনিট একটু চিন্তা করে যে, আমি কার ব্যাপারে বলছি। সে (মাশরাফী) কত কিছুই না করেছে শেষ ১৬-১৭ বছর ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য!’

শুধু দেশিরাই নয়, এই সামলোচনাতে অংশ নিয়েছেন বেদেশি কয়েকজন ক্রিকেটারও। এর মধ্যে ভারতের সাবেক পেসার অজিত আগারকারের কথাতে বেশ ক্ষুব্ধ তামিম। তিনি বলেন, ‘উনি (মাশরাফি) যা করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য, এরপরও তার বিষয়ে এইভাবে মন্তব্য করা বা এভাবে আলোচনা করা সত্যিই খুব দুর্ভাগ্যজনক। সে অনেক বেশি সম্মান পাওয়ার যোগ্য। সে যা দিচ্ছে! কিছু কিছু বিদেশি মানুষ বলেছে আমি শুনেছি। তো উনারা নিজেদের জীবনে কি করেছেন? সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো এটা। ওনারা নিজেদের জীবনে কী করেছেন যে একটা মানুষকে নিয়ে এভাবে বলা! দেশের বাইরের মানুষ কী বলছেন এটা নিয়ে ভাবছি না। সবাই মতামত দিতে পারেন। কিন্তু দেশের মানুষের এটা বোঝা উচিত আমি যখন মাশরাফী বিন মুর্তজার ব্যাপারে একটা কথা বলছি তিনি দেশের জন্য কী করেছেন।’

তবে বিদেশির চেয়ে দেশিদের সামালোচনা খুব বেশি আঘাত করেছে তামিমের মনে। তাই সমর্থকদের প্রতি তিনি বলেন, ‘একজন খেলোয়াড়ের জীবনে দুইটা পার্ট থাকে। ভালো খেলবেন নয়তো ভালো খেলবেন না। খালি আপনি ভালো খেললেই সঙ্গে থাকবেন এমন না, খারাপ খেললেও পাশে থাকতে হবে। মেগা ইভেন্টে প্রত্যেক খেলোয়াড়ই ভালো খেলে না। যে টিম চ্যাম্পিয়নও হবে তাদের ১১জন খেলোয়াড়ই কিন্তু ভালো খেলবে না। কিছু খেলোয়াড় ফর্মে থাকবে, কিছু থাকবে না। মাশরাফী ভাই টিমের জন্য কত কিছু করেছেন সেটি আমাদের মনে রাখা উচিত।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর