× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

টেকনাফ ও কুমিল্লায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৪ মাদক কারবারি নিহত

বাংলারজমিন

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
১৭ জুন ২০১৯, সোমবার

 টেকনাফের শামলাপুরের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)’র সঙ্গে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন মাদক কারবারি নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার পিস ইয়াবা, চারটি আগ্নেয়াস্ত্র (এলজি) ও ২১ রাউন্ড কার্তুজ জব্দ করা হয়েছে। গতকাল ভোর রাতে টেকনাফের শামলাপুর দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মাদক কারবারিরা হলেন, কক্সবাজার পৌরসভার চৌধুরী পাড়ার দিল মোহাম্মদ (৪২), একই এলাকার ইউনুছের ছেলে রাশেদুল ইসলাম (২২) ও চট্টগ্রামের আমিরাবাদের মাস্টারহাট এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪২)। র‌্যাবের দাবি এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর ও সোহেল নামে র‌্যাবের দু’জন সদস্য আহত হয়েছেন। র‌্যাব ১৫ এর উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ এ সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গোপন সংবাদেরর ভিত্তিতে রাতে ইয়াবাসহ শহিদুলকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, শামলাপুর গহিন অরণ্যে একটি বিশাল ইয়াবার লেনদেন করবে।
এ খবর পেয়ে র‌্যাবের একটি আভিযানিক দল টেকনাফে শামলাপুর পাহাড়ি এলাকায় ইয়াবা উদ্ধারে যায়। এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবা কারবারিরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে ইয়াবা কারবারিরা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে তিনজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ, ১ লাখ  ৪০ হাজার ইয়াবা, চারটি দেশীয় তৈরি বন্দুক ও ২১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। গত রাতেও (শনিবার) ১ লাখ ৭০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। নিহতেরা হলেন এই সিন্ডিকেটের অন্তর্ভুক্ত। পাশাপাশি এরা হলেন সৌদি আরবভিত্তিক সিন্ডিকেট করে ইয়াবা পাচার করে আসছিলেন। তাদের এ বিশাল সিন্ডিকেটদের র‌্যাব দীর্ঘদিন খুঁজছিল। বন্দুকযুদ্ধে নিহত তিনজনই তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে জানান, কুমিল্লায় বিজিবি’র সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আবুল হাশেম (৫২) নামে এক মাদক চোরাকারবারি নিহত হয়েছেন। গতকাল ভোররাতে জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী মথুরাপুর এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। নিহত আবুল হাশেম জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার বিরাহিমপুর গ্রামের মৃত মিন্নত আলীর ছেলে।
কুমিল্লা ১০ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, মাদকের একটি বড় চালান আসছে- এমন খবর পেয়ে শনিবার ভোররাত ৩টার দিকে বিজিবির একটি দল জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী মথুরাপুর এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় সীমান্তের প্রায় এক কিলোমিটার বাংলাদেশ অভ্যন্তরে চোরাকারবারিরা বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে তারা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে চোরাকারবারিদের লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি চালায়। উভয়পক্ষের গুলি বিনিময়ের সময় আবুল হাশেম নামে এক মাদক ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় এবং একপর্যায়ে অপর চোরাকারবারিরা পালিয়ে যায়। পরে আহত মাদক ব্যবসায়ীকে উদ্ধারসহ তার নিকট থেকে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় ১৮ হাজার ৩৮০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। পরে আহত মাদক ব্যবসায়ীকে আশংকাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর