বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের পালেরচক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৈশপ্রহরী নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক হেকিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে বিশ্বনাথ উপজেলা প্রশাসন। গত ৩রা জুন বিশ্বনাথ উপজেলা প্রশাসনের তদন্তকারী অফিসার মো. জমশেদুর রহমান সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার পালের চক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন। এসময় এলাকাবাসী তাদের বক্তব্যে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ ও টাকার বিনিময়ে নৈশপ্রহরী নিয়োগে সহায়তা করছেন বলে অভিযোগ করেন। এছাড়া ম্যানেজিং কমিটির সদস্য স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার জামাল উদ্দিন ও পিটিআই কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন লিখিত সাক্ষ্য দিয়েছেন। এতে তারা বলেছেন, প্রধান শিক্ষক এক লাখ টাকার বিনিময়ে নৈশপ্রহরী নিয়োগ দানে সহায়তা করছেন। এলাকাবাসী ও স্কুলের প্রাক্তন ছাত্ররা এই নিয়োগ বাতিল করে স্থানীয় আবেদনকারীদের থেকে নৈশপ্রহরী নিয়োগের দাবি জানিয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত ১২ই মে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, সিলেট বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা উপবিভাগীয় পরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসার, বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন পালেরচক এলাকাবাসী।
এতে বলা হয়, ‘স্থানীয় আবেদনকারীদের বাদ দিয়ে স্কুল কেচম্যাপ এড়িয়ে অন্য এলাকার সুনুল হক নামের একজনকে নিয়োগ দেয়া হয়।
বিদ্যালয়ের সীমানার বাইরের এলাকার একজনকে অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক নৈশপ্রহরী নিয়োগ দানে সহায়তা করেছেন। যাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে সেই সুনুল হক প্রধান শিক্ষকের এলাকার বাসিন্দা।’