বাজারে কোনো পণ্যের মান নিয়ে বিএসটিআইয়ের টেস্টিং ও রিটেস্টিংয়ে যদি লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায় তাহলে জড়িতদের সরাসরি জেলে পাঠানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল ৪০৬টি মানহীন পণ্যের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে দায়ের করা রিটের শুনানিতে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বিএসটিআইকে সতর্ক করে এমন হুঁশিয়ারি দেন। একইসঙ্গে, হাইকোর্টের তলবে হাজির হয়ে আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহফুজুল হক। এছাড়া, ভোক্তাদের জরুরি সেবা দিতে আগামী দুই মাসের মধ্যে একটি হটলাইন চালু করতে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতরকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। শুনানিকালে আদালত বলেন, আমরা জেনেছি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পণ্যের মান পরীক্ষার সময় ডিমান্ড নিয়ে আলোচনা হয়। এ রকম অভিযোগ আছে যে, টেস্ট-রিটেস্টের আগে লেনদেনও হয়। এ রকম খবর পেলে দুদকে না পাঠিয়ে সরাসরি জেলে পাঠিয়ে দেব। এ সময় আদালত আরও বলেন, কোর্টের আদেশের কারণে রেট বেড়ে গেছে।
তাহলে দেখা যাচ্ছে, কোর্ট দুর্নীতিতে হেল্প করছে। এরপর ভোক্তাদের জরুরি সেবা দিতে আগামী দুই মাসের মধ্যে একটি হটলাইন চালু করতে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতরকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আদালতে বিএসটিআইয়ের পক্ষে ছিলেন, আইনজীবী সরকার এম আর হাসান। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের পক্ষে ছিলেন, কামাল উল আলম, এম আমিনুদ্দিন এবং মোহাম্মদ ফরিদুল আলম।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পক্ষে ছিলেন কামরুজ্জামান কচি। আদালত বলেন, ‘হটলাইন চালুর আগ পর্যন্ত ভোক্তা অধিকার সংক্ষরণ অধিদফতরের একটি নম্বর (০১৭৭৭৭৫৩৬৬৮), প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ৩৩৩ এবং জাতীয় হটলাইন ৯৯৯ এর মাধ্যমে ভোক্তাদের সপ্তাহের প্রতিদিন (ছুটির দিনসহ) ২৪ ঘণ্টা জরুরি সেবা দিতে হবে। আদালত বলেন, ওই দুটি নম্বর যেন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের নম্বরটিও ছুটির দিনসহ ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখতে হবে। বিষয়টি ভোক্তাদের জানানোর জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।