× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শুল্ক না কমালে লাখ লাখ শ্রমিক বেকার হবে: বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
১৭ জুন ২০১৯, সোমবার

বাজেটে প্রস্তাবিত সম্পূরক শুল্ক না কমালে বিড়ি শিল্পে জড়িত লাখ লাখ শ্রমিক বেকার হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়তনে ‘বৈষম্যমূলক শুল্ক নীতি প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ বাজেট প্রতিক্রিয়া’ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বিড়িতে সম্পূরক শুল্ক কমিয়ে বিড়ির দাম ১৪ টাকা থেকে ১০ টাকা করাসহ ৮ দফা দাবি তুলে ধরেন। বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক মো: হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফেডারেশনের সভাপতি এম কে বাঙ্গালী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১৯-২০ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়ির ওপর অযৌক্তিকভাবে কম দামি সিগারেটের চেয়ে ৪ গুণ বেশি শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। বিড়িতে ২৪.২০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে, অন্যদিকে কম দামি সিগারেটে মাত্র ৫.৭১ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিড়ির সম্পুরক শুল্ক ৩০% থেকে ৩৫% করা হয়েছে অর্থাৎ ৫% বৃদ্ধি করা হয়েছে। অন্যদিকে, বহুজাতিক কোম্পানীর কমদামি সিগারেট ও বেশি দামি সিগারেটের সম্পুরক শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়নি। তিনি আরো বলেন, বিগত অর্থমন্ত্রী বিড়ি শিল্প বন্ধের জন্য সময় নির্ধারণ করেছেন ২০৩০ সাল আর সিগারেট শিল্প বন্ধের সময় দিয়েছেন ২০৪০ সাল পর্যন্ত।
দেশীয় শিল্প হিসেবে বিড়ি শিল্পের ওপর এ ধরনের করারোপ অমানবিক। ‘আমাদের প্বার্শবর্তী দেশ ভারতে বিড়িকে কুটির শিল্প হিসেবে ঘোষণা দিয়ে সুরক্ষা দিচ্ছে। দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থানের দিক বিবেচনা করে প্রতিবেশি দেশ ভারতে বিড়ির ওপর শুল্ক সহনীয় মাত্রায় রাখা হয়েছে। ভারতে এক হাজার বিড়িতে যেখানে শুল্ক দিতে হয় ১৪ টাকা সেখানে বাংলাদেশে ৩১৩ টাকা ৬০ পয়সা করা হয়েছে। যা বিড়ি শিল্প ধ্বংসের পাঁয়তারা। ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি বলেন, এবারের বাজেট ঘোষণার পর আমাদের বিড়ি শিল্প ধ্বংসের সম্মুখীন হয়েছে। আমাদের লাখ লাখ শ্রমিক বেকার হওয়ার পথে। বিড়ির উপর এমনভাবে কর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে যাতে বিড়ি শিল্প বন্ধ হয়ে যায়। এটা একটা চরম ষড়যন্ত্র। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা সরকারের কাছে ৮টি দাবি তুলে ধরেছি। এগুলো মেনে না নিলে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন কঠোর আন্দোলনের ডাক দিতে বাধ্য হবে। সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিক নেতারা ৮ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিসমূহ হলো-১. বিড়ির দাম ১৪ টাকা থেকে কমিয়ে ১০ টাকা করতে হবে। ২. সম্পূরক শুল্ক কমিয়ে ভারতের ন্যায় প্রতি হাজারে ১৪ টাকা করতে হবে। ৩. কম দামি ও বেশি দামি সিগারেটে সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করতে হবে। ৪. বিড়ির ওপর আরোপিত অগ্রিম আয়কর বাতিল করতে হবে। ৫. বঙ্গবন্ধুর চালুকৃত বিড়িকে অবিলম্বে কুটির শিল্প ঘোষণা করতে হবে। ৬. নিম্নস্তর ও  মধ্যম স্তরের সিগারেট একীভূত করে সমমূল্য করতে হবে। ৭. উচ্চস্তরের সিগারেটের মূল্য ও সম্পূরক শুল্ক অধিক হারে বৃদ্ধি করতে হবে। ৮. শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি হাজার প্রতি ১০০ টাকা করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, কার্যকরি সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সহ-সম্পাদক প্রনব দেবনাথ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত লাভলু প্রমুখ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর