× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিশ্বকাপ লড়াইয়ের খণ্ডচিত্র

বাংলাদেশ কর্নার


১৭ জুন ২০১৯, সোমবার

১৯৯৯ থেকে ২০১৯, কুড়ি বছরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চারবার বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। প্রাপ্তির খাতা শূন্য। বরাবরই আধিপত্য দেখিয়েছে ক্যারিবীয়রা। বিশ্বকাপে আগের চার ম্যাচের কিছু খণ্ডচিত্র দেখে নেয়া যাক
‘ওয়ানম্যান আর্মি’ মেহরাব হোসেন (১৯৯৯)
বাংলাদেশ: ১৮২ (৪৯.২)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৮৩/৭ (৪৬.৩)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩ উইকেটে জয়ী।
অস্ট্রেলিয়ার ডাবলিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজেদের ইতিহাসে প্রথম ওয়ানডে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাটিং নেন টাইগার অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। ক্যারিবীয় পেসার তোপে মাত্র ৫৫ রানেই ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। একপ্রাপ্ত আগলে রেখে খেলছিলেন ওপেনার মেহরাব হোসেন। পঞ্চম উইকেটে নাইমুর রহমান দুর্জয়ের সঙ্গে ৮৫ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় থেকে দলকে রক্ষা করেন মেহরাব।
কিন্তু দলীয় ১৪০ রানে মেহরাব আউট হওয়ার পর আবার ধস নামে। ৪২ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ অলআউট হয় ১৮২ রানে। মেহরাব ১২৯ বলে ৬৪ করেছিলেন। দুর্জয় খেলেন ৪৫ রানের ইনিংস। উইন্ডিজের পক্ষে অধিনায়ক ওয়ালশ ৪টি ও রেয়ন কিং নেন ৩ উইকেট। জবাবে রিডলি জ্যাকবস ও জিমি অ্যাডামসের হাফসেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটের জয় জয় তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বৃষ্টিতে কপাল পুড়লো উইন্ডিজের (২০০৩)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২৪৪/৯ (৫০)
বাংলাদেশ: ৩২/২ (৮.১)
২০০৩ সালের আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ‘বি’ গ্রুপে ৭ দলের মধ্যে চতুর্থ হয়েছিল তারা। ওই গ্রুপ থেকে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় দল হিসেবে সুপার সিক্সে উঠে কেনিয়া। নেট রানরেটে এগিয়ে থেকেও ১৪ পয়েন্টের কারনে বাদ পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হওয়াতেই কপাল পুড়েছিল লারাদের। বেনোনিতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৪৪ রান সংগ্রহ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাব দিতে নেমে ১৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। এরপর দলের স্কোর যখন ৩২/২, তখনই বৃষ্টি নামে। শেষতক ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়। আর ৪ পয়েন্টের আশা নিয়ে মাঠে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ পায় ২ পয়েন্ট।
কলিমোর-পাওয়েলে বিধ্বস্ত বাংলাদেশ (২০০৭)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২৩০/৫ (৫০ ওভার)
বাংলাদেশ: ১৩০ (৪৩.৫ ওভার)
ব্রিজটাউনে সুপার এইটের লড়াইয়ে টস জিতে ফিল্ডিং নেন বাংলাদেশি অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন। উইন্ডিজকে ভালোই চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ। একটা সময় ৫৫/৩ ছিল তাদের স্কোর। কিন্তু চন্দরপলের ফিফটি আর রামনরেশ সারওয়ানের অপরাজিত ৯১ রানে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। জবাব দিতে নেমে কোরি কলিমোর ও ড্যারেন পাওয়েলের গতিতে ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। ৫২ রানে ৬ উইকেট হারায় তারা। মুশফিকুর রহিমের সর্বোচ্চ ৩৮* রানে শেষ পর্যন্ত ১৩০ রানে থামে বাংলাদেশ।
ঘরের মাঠে ৫৮ রানের লজ্জা (২০১১)
বাংলাদেশ: ৫৮ (১২.২)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৫৯/১
ফল: উইন্ডিজ ৯ উইকেটে জয়ী।
মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বনিম্ন রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১২.২ ওভারে ৫৮ রানে অলআউট হয়ে যায় টাইগাররা। জুনায়েদ সিদ্দিকী (২৫) ও মোহাম্মদ আশরাফুল (১১) দুই অংকের কোটা ছুঁতে পেরেছিলেন। ক্যারিবীয়দের পক্ষে স্পিনার সুলেমান বেন ৪টি, পেসার কেমার রোচ ও ড্যারেন স্যামি নেন ৩টি করে উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজ জেতে ৯ উইকেটে। এই ম্যাচে ৫৮ রানে অলআউট হয়ে নেট রানরেটে অনেক পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও ৭৮ রানে গুটিয়ে যায় টাইগারা। পরে বাংলাদেশের সমান পয়েন্ট ৬ নিয়েও নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় চতুর্থ দল হিসেবে শেষ আটে উঠে যায় উইন্ডিজ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর