আমেরিকায় হয়ে গেলে সেন্টার ফর এনআরবি’র কান্ট্রি কনফারেন্স। ‘দায়িত্বশীল নাগরিক-সমৃদ্ধ দেশ’ স্লোগানে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স সিরিজ-২০১৯ এর অংশ হিসাবে নিউইয়র্কে এ আয়োজন হয়। এতে সভাপতিত্ব ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেন্টার ফর এনআরবি চেয়ারপার্সন এম এস সেকিল চৌধুরী। সম্মানিত অতিথি হিসাবে আলোচনায় অংশ নেন নিউইয়র্ক কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুন্নেছা। বাংলাদেশ থেকেও অতিথিরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং খাতওয়ারী বিভিন্ন বিষয়ে প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন সেন্টার ফর এনআরবি’র অন্যতম সদস্য, সংগঠক মোসরেকা আফরোজে খাঁন। নিউইয়র্ক প্রবাসী বিশিষ্ট বাংলাদেশি নাগরিক, বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতাকর্মী, শিক্ষবিদ, শিল্পী, সাংস্কৃতিককর্মী, সমাজসেবক ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিসহ দেশি-বিদেশি সুধীজনদের অংশ গ্রহণে অনুষ্ঠিত ওই কনফারেন্সে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কমনওয়েলথ রাণী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তৃতায় বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুন্নেসা প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে সম্পৃক্ত রাখা এবং বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদেশিদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহের বিষয়টি বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
কনসাল জেনারেল আরো বলেন, বাংলাদেশি-আমেরিকান নাগরিকদের কল্যাণের জন্য একযোগে কাজ করার লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ সব ধরনের চলমান সহায়তা অব্যাহত থাকবে। ছিলেন। সংগঠনের চেয়ারপারসন তার বক্তৃতায় বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের আরও বেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে সেন্টার ফর এনাবি’র চেয়ার সেকিল চৌধূরী বলেন, ২০৩০ সালে বিশ্বের ৩০তম বৃহৎ অর্থনৈতিক দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বৈদেশিক আয়ের ৬৭ শতাংশই এখন আসছে প্রবাসী বা এনআরবির মাধ্যমে। তিনি সকলকে বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠানোর আহ্বান জানান। তিনি আরও বেশী প্রবাসী বিনিয়োগ কামনা করেন। তিনি বৈধ অভিবাসনে সরকারের সরকারের লক্ষ্য ও পরিকল্পনাও তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় পরিচয়পত্র বিভাগের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুল ইসলাম এনডিসি পিএসসি একটি প্রেজেনটেশন দেন। সেখানে তিনি উপস্থাপন করেন এনআইডি কিভাবে বিতরণ হচ্ছে, স্মার্টকার্ড কিভাবে কাস্টমাইজ হচ্ছে, আগামীতে কী করা হবে ইত্যাদি। এ ছাড়া ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলা ছাড়াও বিদেশগমনসহ সেবাপ্রাপ্তিতে স্মার্টকার্ডের সুবিধার বর্ণনা দেন তিনি। অনুষ্ঠানে ওয়শিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার শাহাব উদ্দিন পাটোয়ারী প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, প্রবাসীদের অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে। দেশকে এগিয়ে নিতে প্রবাসীদের অবদান অপরিসীম। বাংলাদেশিরা সম্মানের জায়গা করে নিয়েছেন। বাংলাদেশের বিনিয়োগবান্ধব নীতির ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আসতে শুরু করেছে। বিনিয়োগকারীদের সুবিধার জন্য প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনোমিক জোন গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন। এগুলোর বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে চলছে। সম্মেলনে প্রবাসীদের সমস্যা ও সম্ভাবনার প্রস্তাব তুলে ধরেন, কমিউনিটি নেতা এ্যানীর মঈন চেীধুরী, মুক্তিযোদ্ধা, মুকিত চৌধুরী, আবু তাহের প্রমুখ।