বগুড়া-৬ সদর আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর কর্মী-সমর্থক এবং স্বতন্ত্র (আপেল প্রতীক) প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে বগুড়া জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সিফাত গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য আহতরা শহরের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। সোমবার দুপুর দেড়টায় বগুড়া সদরের শাখারিয়া ইউনিয়নের পাঁচবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে ধানের শীষের পক্ষের শ্রমিক দল নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন, ছাত্রদল নেতা সিপাত আল আমিন, আরিফুর রহমান আরিফ এবং আপেল মার্কার কর্মী মাসুদ, সম্রাটকে গুরুতর আহত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, শাখারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এখলাসের ভাই মালয়েশিয়া প্রবাসী যুবদলের সভাপতি মিনহাজ মণ্ডল স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। ফলে শাখারিয়া এলাকার বিএনপির নেতাকর্মীরা মিনহাজ মণ্ডলের পক্ষে কাজ করছেন। সোমবার দুপুরে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য বগুড়া সদরের শাখারিয়া ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থী জিএম সিরাজ যান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, আলী আজগর তালুকদার হেনা, মাফতুন আহম্মেদ খান রুবেলসহ আরো অনেক নেতাকর্মী। এ সময় মিনহাজ অনুসারী স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা আপেল মার্কার পক্ষে প্রচার করছিলেন। ধানের শীষের নেতাকর্মীরা তাদেরকে বাধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজের পক্ষ নিয়ে তার অনুসারী বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা ধানের শীষের প্রচার বহরে থাকা দুইটি মাইক্রোবাস এবং কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। ধানের শীষের কর্মীরাও আপেল মার্কার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর এবং তার পোস্টার আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়।