কালিহাতীতে এক প্রতিবন্ধী যুবতীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে রাজিব ও আনিছ নামে দুই লম্পট। ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করে ওই লম্পটরা। ঘটনাটি ঘটেছে কালিহাতী উপজেলা নারান্দিয়া ইউনিয়নের পিচুটিয়া ও কুরুয়া এলাকার বাজরে এক দোকানে। এ ঘটনা খবর শুনে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দোকান তালা লাগিয়ে দেয়। প্রতিবন্ধী ধর্ষণের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। রোববার বিকালে ওই প্রতিবন্ধীর চাচাতো ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসফিকুর রহমান বাদী হয়ে উপজেলা কুরুয়া গ্রমের রাইজ উদ্দিনের ছেলে রাজিব (৩০) ও পিচুরিয়া গ্রামের মৃত আ. বাছেদের ছেলে লম্পট আনিছ (৫২) কে আসামি করে কালিহাতী থানায় মামলা করেছে। এ ঘটনায় রোববার সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশ অভিযুক্ত আনিছকে আটক করেছে ।
মামলার বাদী ও ওই প্রতিবন্ধীর চাচাতো ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসফিকুর রহমান করিম জানান, আমার মানসিক প্রতিবন্ধী বোন বাড়িতে কাউকে না জানিয়ে বের হয়ে যায়।
গত ১২ই জুন রাতে রাজিব ও আনিছ আমার মানসিক প্রতিবন্ধী বোনকে সদাই দেবে বলে লোভ দেখিয়ে রাজিবের দোকানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে বলে তিনি জানতে পান স্থানীয়দের কাছে। এলাকাবাসী জানান, ১২ই জুন বুধবার রাতে লম্পট রাজিব ও আনিছ ওই প্রতিবন্ধীকে প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে নিয়ে রাজিবের দোকানে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। পরে স্থানীয় মাতাব্বররা ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর থেকে অভিযুক্ত রাজিব ও আনিছ পলাতক। এ বিষয়ে কালিহাতী থানা ওসি মীর মোশারফ হোসেন জানান, ১৫ই জুন শনিবার বিষয়টি জানতে পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয় এবং ওই প্রতিবন্ধীর অভিভাবককে থানায় আসতে বলা হয়। রোববার দুপুরে ওই মানসিক প্রতিবন্ধীর কোন ভাই বোন মা বাবা না থাকায় চাচাতো ভাই মোসফিকুর রহমান থানায় মামলা দায়ের করেন। ১৭ই জুন সোমবার ওই প্রতিবন্ধীকে মেডিকেল রিপোর্ট করার জন্য টাঙ্গাইল হাসপাতালে পাঠানো হবে।
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়ের কুচিয়ামারা এলাকার এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে বাচ্চু মিয়া ও মাসুদ আলম নামের দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে একই এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ওই গৃহবধূকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। এর আগে সকালে ওই গৃহবধূ নারী বাদী হয়ে রায়পুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এতে চর আবাবিল এলাকার সৈয়দ আহম্মেদ আলীর ছেলে বাচ্ছু মিয়া ও আলাউদ্দিন মাঝির ছেলে মাসুদ আলমের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২ জনকে আসামি করা হয়।
পুলিশ জানায়, শনিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলায় উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়ের কুচিয়ামারা খাল পাড় এলাকার ওই গৃহবধূ নারী তার ঘরে একা শুয়ে আছে। এ সময় চার যুবক কৌশলে তার ঘরের দরজা খুলে গৃহবধূকে ঘরের একটি কক্ষে নিয়ে আটক রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। তার স্বামী ও ছেলে ঢাকায় থাকেন। পরে বাচ্চু ও মাসুদকে ওই গৃহবধূ ছিনতে পারে। এ সময় তারা বিষয়টি কাউকে বললে জানে মেরে ফেলবে হুমকি দিয়ে চলে যায়। রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোতা মিয়া বলেন, গণধর্ষণের অভিযোগে থানায় অজ্ঞাত ২ জনসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত বাচ্চু ও মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। অজ্ঞাত দু’জনকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: দাউদকান্দিতে ৯ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। রোববার বিকালে উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের পশ্চিম হুগুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার শিশুটি হুগুলিয়ার স্থানীয় মহিলা মাদরাসার ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে শেখ ফরিদের (৫৫) নামে রাতেই শিশুটির বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে দাউদকান্দি মডেল থানায় মামলা করেছেন। শিশুটির নানী বলেন, ‘রোববার বিকালে শিশুটি তাবলিগ জামায়াতের স্থানীয় মারকাজ মসজিদের পশ্চিম পাশের পুকুরপাড় দিয়ে যাওয়ার সময় শেখ ফরিদ শিশুটিকে ডেকে কলা গাছের আড়ালে নিয়ে যায়। আমি দূর থেকে দেখে অনেকক্ষণ দেরি হওয়ায় সেখানে যাই। আমাকে দেখে শেখ ফরিদ অন্যদিকে চলে যায়। পরে আমার (চাচাত) নাতিনকে হাত ও মুখ বাঁধা অবস্থায় দেখতে পাই।’ গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আ.স.ম. আবদুন নুর বলেন, খবর পেয়ে রোববার রাতেই শিশুটিকে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেই। গতকাল আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাই। ঘটনায় জড়িত শেখ ফরিদকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খুব দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।