শেরপুরে এক তরুণীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের দায়ে মিলন মিয়া (৩৬) নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে। গতকাল দুপুরে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান মামলার একমাত্র আসামির অনুপস্থিতিতে ওই রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে ধর্ষিতা তরুণীর গর্ভে জন্ম নেয়া কন্যাশিশুর ভরণপোষণে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড আদায়ের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত মিলন সদর উপজেলার গাজীরখামার ইউনিয়নের খরখরিয়া গ্রামের লোকমান হোসেন খোকার ছেলে। তবে দণ্ডিত যুবক মিলন ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ২০০৪ সালের ১৫ই নভেম্বর শেরপুর সদর উপজেলার গাজীরখামার ইউনিয়নের খরখরিয়া গ্রামের দরিদ্র পরিবারের ওই তরুণীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করে স্থানীয় বখাটে মিলন মিয়া। ওই অবস্থায় দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৪ মাস ধর্ষণের কারণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই তরুণী। বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়লে ধর্ষককে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে ওই সম্পর্ক ও মেলামেশার কথা অস্বীকার করে।
এরপর প্রায় ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় একই বছরের ১লা জুন ট্রাইব্যুনালে মিলন মিয়াকে একমাত্র আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে ওই তরুণী। ২৭শে জুন সদর থানায় ওই মামলাটি রেকর্ডের পর ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষাসহ তদন্ত শেষ করে ৩১শে জুলাই অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জ্যোতিষ মজুমদার। মামলার প্রথম থেকেই আসামি মিলন মিয়া পলাতক থাকায় দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ায় সংবাদদাতা বাদী-ভিকটিমসহ ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ওই রায় প্রদান করা হয়।