× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

তদন্ত কমিটির রিপোর্টে তথ্য /ভুল করেই পাসপোর্ট সঙ্গে নেননি পাইলট ফজল

শেষের পাতা

বিশেষ প্রতিনিধি
১৮ জুন ২০১৯, মঙ্গলবার

বিদেশ সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বিমানের বোয়িং-৭৮৭ উড়োজাহাজ নিয়ে যাওয়ার সময় ভুল করেই বলাকা অফিসে পাসপোর্ট ফেলে যান ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে  জমা হওয়া তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এমন তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক নিয়ে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে আমরা ৫/৭টি সুপারিশ পেয়েছি। সুপারিশগুলো অনেকটা জেনেরিক টাইপের। যাত্রী বা ক্রুকে ইমিগ্রেশন করতে হলে অবশ্যই ইমিগ্রেশনের নিয়ম মেনে করতে হবে।

পাইলট ভুল করে পাসপোর্ট রেখে গেছে বলে শোনা যাচ্ছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ওটা হয়তো ফাইন্ডিংসে আছে, না দেখে বলা ঠিক হবে না। এই প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা প্রকাশ করা যেতে পারে। কোনও বাধা থাকার কথা না।
তবে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, মন্ত্রিপরিষদ গঠিত তদন্ত কমিটি বেশ কয়েকটি সুপারিশ করেছে। তবে এখনই এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারছি না। ইমিগ্রেশন পার হওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে এসব সুপারিশ করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তিনি জানতে পেরেছেন।  

তদন্ত কমিটির আহবায়ক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা বেগম জানান, প্রধানমন্ত্রীকে আনতে যাওয়ার সময় বাংলাদেশ বিমানের পাইলট ফজল মাহমুদ ভুল করে পাসপোর্ট বলাকা ভবনে তার অফিসে রেখে গিয়েছিলেন। তদন্ত কমিটি তার সঙ্গে কথা বলে এবং  সংশ্লিষ্ট অন্যান্য তথ্য যাচাই করে নিশ্চিত হয়েছে, তিনি আসলে ভুল করেই পাসপোর্ট ফেলে গিয়েছিলেন।
নাসিমা বেগম বলেন, তদন্তে নিয়োজিত চার সদস্যের কমিটি বাড়িয়ে ছয় সদস্যের করা হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দুই কর্মকর্তাকে এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অন্য তিন সদস্য ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব (বহিরাগমন-৪) মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকী, কমিটির সদস্য সচিব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব (রাজনৈতিক-১) মো. জাহাঙ্গীর আলম।

তিনি বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এই তদন্ত কমিটিকে প্রথমে তিন কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল। পরে কমিটি আরও তিন কর্মদিবস সময় বাড়িয়ে নেয়। সেই ছয় কর্মদিবস শেষ হওয়ার আগেই রবিবার (গতকাল) মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের হাতে কমিটি প্রতিবেদন তুলে দেয়।

এদিকে, একই ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ গঠিত চার সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ করেছে। এ কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তারাও সময় বাড়িয়ে নিয়েছে। কমিটির সভাপতি সুরক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নিরাপত্তা ও বহিরাগমন অনুবিভাগ) মোহাম্মদ আজহারুল হক, সদস্য সচিব যুগ্ম সচিব (বহিরাগমন-৪) হেলাল মাহমুদ শরীফ, সদস্য বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সেলিনা বানু ও শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম।

এর আগে গত ৬ জুন ফিনল্যান্ড থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বিমানের বোয়িং ৭৮৭ উড়োজাহাজ নিয়ে রওনা হন ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। কাতারের দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ট্রানজিট পয়েন্টে থাকা একটি হোটেলে তার থাকার ব্যবস্থা করা হয়। তবে তিনি কাতারের ট্রানজিট পয়েন্ট পার হয়ে দেশটির ভেতরে প্রবেশ করতে গেলে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তার পাসপোর্ট দেখতে চাইলে তিনি দেখাতে পারেননি। পরবর্তী সময়ে ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদকে বিমানবন্দরটির ইমিগ্রেশনের হেফাজতে নেয়া হয়। এই ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার ফ্লাইটের দায়িত্ব থেকে তাকে সরিয়ে নেয়া হয়। ফজল মাহমুদের পরিবর্তে বিমানের অন্য পাইলটকে পাঠানো হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর