বিশ্বকাপ জিততে না পারলেও প্রতিটি আসরেই ভালো খেলে নিউজিল্যান্ড। গতবারও ফাইনালে খেলেছে দলটি। তবু নিউজিল্যান্ডকে সবাই ‘ডার্ক হর্স’ বলে। চলতি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড ৪ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে। তাদের বিপক্ষেই কাল এজবাস্টনে খেলতে নামছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৫ ম্যাচে মাত্র ৩ পয়েন্ট থাকায় এই ম্যাচে জিততেই হবে প্রোটিয়াদের। কিউইদের সমীহ করছেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার ক্রিস মরিস। তিনি বলেন, ‘আমি নিউজিল্যান্ডকে ডার্ক হর্স বলবো না, এর চেয়ে বেশি কিছু প্রাপ্য ওদের।
আমার মতে, এবারের টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট তারা।’
নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংটা বেশ ভারসাম্যপূর্ণ। টপ অর্ডারে মার্টিন গাপটিল, কেন উইলিয়ামসনের মতো ব্যাটসম্যান রয়েছে তাদের। মিডল অর্ডারে রস টেলর। ইনিংসের শেষের দিকে ঝড় তুলতে রয়েছেন জিমি নিশাম কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। আর রয়েছেন বর্তমানের অন্যতম সেরা বোলিং লাইন-আপ। ৪ ম্যাচে (একটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত) ডানহাতি পেসার লকি ফার্গুসন নিয়েছেন ৯ উইকেট, আরেক ডানহাতি পেসার ম্যাট হেনরির শিকার ৬ উইকেট। পেস অলরাউন্ডার জিমি নিশামের উইকেট ৬টি। গত আসরের সর্বাধিক উইকেট শিকারি (মিচেল স্টার্কের সঙ্গে যৌথভাবে) ট্রেন্ট বোন্টকে এখনো সেরা ছন্দে দেখা যায়নি অবশ্য। তিনি নিয়েছেন ৩ উইকেট। তবে যেকোনো দিন পুরনো চেহারায় দেখা যেতে পারে বাঁহাতি এ পেসারকে। কিউইদের শক্তি ভাবাচ্ছে মরিসকে। তিনি বলেন, ‘তাদের দলটা বেশ ভারসাম্যপূর্ণ। দারুণ বোলিং লাইনআপের সঙ্গে বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইনআপ। এমন বিশ্বমানের একটি দলের বিপক্ষে জিততে হলে আমাদের সেরাটা খেলতে হবে।’
বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে নিজেদের বাকি ৪ ম্যাচের প্রত্যেকটিতেই জিততে হবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। স্বাভাবিকভাবেই চাপে থাকার কথা দলটি। তবে মরিস বললেন, ড্রেসিং রুমের পরিবেশ শান্ত। তিনি বলেন, আমরা স্বাভাবিক আছি। পরের ম্যাচে কেবল নিজেদের খেলাটা খেলতে চাই।