× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

যে কারণে খুন হন পুঠিয়ার সেই শ্রমিক নেতা

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে
১৯ জুন ২০১৯, বুধবার

সমকামিতায় বাধ্য করায় রাজশাহীর পুঠিয়ার শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলাম (৫৪) এক কিশোরের হাতে খুন হন। পুলিশ ইতোমধ্যে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ হিসেবে ওই কিশোর আদালতে এ তথ্য জানিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। গত সোমবার বিকালে আদালতে জবানবন্দি দেয়। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতে খায়ের আলম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। এদিকে, এ ঘটনার সাক্ষী হিসাবে আরো তিনজন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানান ইফতে খায়ের আলম। গত ১১ই জুন সকালে পুঠিয়ার কাঠালবাড়িয়া গ্রামের একটি ইটভাটা থেকে নুরুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নুরুল ইসলাম উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের ধোপাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। উপজেলা সড়ক পরিবহন ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ছিলেন তিনি। সমপ্রতি অনুষ্ঠিত এই সংগঠনের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি পরাজিত হন। শ্রমিক ইউনিয়নের দ্বন্দ্বের কারণে তিনি খুন হন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছিল। তবে পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে এসেছে ভিন্ন চিত্র।
পুলিশ কর্মকর্তা ইফতে খায়ের আলম আলম জানান, নুরুল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় তার মেয়ে বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়। মামলা দায়েরের পর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হন। তিনি তদন্ত শুরু করেন। এরপর গত রোববার নুরুল ইসলামের প্রতিবেশী ওই কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে সব স্বীকার করে। ওই কিশোর আদালতে তার জবানবন্দিতে বলেছে, প্রতিবেশী বলে সে নূরুল ইসলামকে নানা বলে ডাকত। কিন্তু নুরুল ইসলামের সমকামিতার বদ অভ্যাস ছিল। তিনি ওই এলাকার বিভিন্নজনকে এ কাজে ব্যবহার করতেন। নুরুলের ফাঁদে পড়েছিল সে নিজেও। টাকার লোভ দিয়ে প্রায়ই নুরুল তার সঙ্গে সমকামিতায় লিপ্ত হতেন। এতে অনিচ্ছা প্রকাশ করলে তাকে বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন নুরুল। ফলে ওই কিশোর তার সঙ্গে যেতে বাধ্য হতো। গত ১০ই জুন রাতেও নুরুল ইসলাম ওই কিশোরকে ইটভাটায় নিয়ে যান। সমকামিতার এক পর্যায়ে নুরুল ইসলাম মাটিতে পড়ে যান। তখন ওই কিশোর তার গলা টিপে ধরে। এরপর ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলে নুরুলের মৃত্যু হয়। এরপর বাড়ি চলে যায় ওই কিশোর। সমকামিতায় বাধ্য করার কারণে তাকে হত্যা করা হয় বলে সে আদালতে জানিয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, ওই কিশোর একাই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এর সঙ্গে আর কেউ জড়িত নয়। আদালতে সে এ কথা বলেছে। মামলার তদন্ত শেষ। তাই দ্রুতই আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর