× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খালেদা জিয়ার মুক্তিতে সরকার বাধা হবে না: ওবায়দুল কাদের

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
১৯ জুন ২০১৯, বুধবার

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিতে সরকার বাধা হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়াম লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সবগুলো মামলায় জামিন পেলে তিনি মুক্তি পাবেন। আদালত যদি নির্দেশ দেন তাকে জেলে রাখা হবে না, মুক্তি দেয়া হবে। তাহলে সরকারের কোনো বাধা থাকতে পারে না। সরকার এখানে কোনো অন্তরায় নয়। এটি আদালতের ব্যাপার। সব মামলা থেকে জামিন পেলে মুক্তির বিষয়ে সরকার অন্তরায় হবে না। গতকাল রাজধানীর কাওলায়‘ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের’ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি শুধু বলার জন্যই বলছে, বিরোধিতার জন্য বলছে। খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে বিএনপি নেতারা দলীয়ভাবে কিছু করতে না পেরে সবকিছু সরকারের ঘাড়ে চাপায়। তিনি বলেন, যত দোষ নন্দ ঘোষ। এটিই বিএনপির রাজনীতি। আজকে আবারও প্রমাণিত হলো বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন। সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে খালেদা জিয়া মুক্তি পাচ্ছেন না, বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা সব সময়ই বলে আসছি বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে দায়িত্বপালন করে আসছে। শেখ হাসিনার সরকার এ পর্যন্ত আদালতের কার্যক্রমে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করেনি। খালেদা জিয়ার মামলায়ও আলাদা কিছু হয়নি। এখানে আদালত যখন যে মামলায় জামিন দিতে চেয়েছেন, স্বাধীনভাবে জামিন দিয়েছেন। তিনি বলেন, আজকেও যে জামিন দিয়েছেন, এই সরকারের আমলে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ কতটা স্বাধীন, সেটা আবার প্রমাণিত হলো। উদ্দেশ্যমূলকভাবে সরকার বগুড়া উপনির্বাচনে ইভিএম দিয়েছে, বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, অতীতে দেখা গেছে ইভিএম যেখানে হয়েছে, সেখানে বিরোধী রাজনৈতিক দলই সুবিধাটা বেশি পেয়েছে, বিরোধী রাজনৈতিক দলই জিতেছে। প্রযুক্তি নিয়ে সন্দেহ করার কোনো কারণ নেই। বগুড়ায় সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। এদিকে সংবাদ সম্মেলনে মেট্রোরেলের মতো পাতালরেলের দৃশ্যমান কাজ এ বছরই শুরু হবে বলে জানান তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, পাঁচটি ফেইজে পাতালরেলের কাজ হবে। এমআরটি লাইন ১, এমআরটি লাইন ২, এমআরটি লাইন ৩, এমআরটি লাইন ৪ ও এমআরটি লাইন ৫। ২০৩০ সালের মধ্যে সবকটি এমআরটি লাইনের কাজ শেষ হবে বলে তিনি আশা করেন। মন্ত্রী বলেন, এমআরটি লাইন ১ ও ৫এর কাজ আগে হবে। এমআরটি লাইন ১-এ আছে সাড়ে ১৬ কিলোমিটার, আর ৫-এ আছে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার। ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসের কাজটি পিপিপি প্রজেক্ট করছে। চায়না এক্সিম ব্যাংক এই প্রজেক্টের অর্থায়ন করছে। প্রকল্পটি দীর্ঘদিন ঝুলে ছিল অর্থায়নের জন্য। এখন কাজ পুরোদমে চলছে। ঢাকা এলিভেটেট এক্সপ্রেসের কাজও এখন দৃশ্যমান। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এই লাইনের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭০ কিলোমিটার বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, প্রকল্পটি তিনটি ধাপে সম্পন্ন হবে। প্রথম ধাপে এয়ারপোর্ট থেকে বনানী, দ্বিতীয় ধাপে বনানী থেকে মগবাজার ও শেষ ধাপে মগবাজার থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত কাজ হবে। প্রথম ধাপের কাজ আগামী জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে। আর পুরো কাজ শেষ হবে ২০২২ সালের মার্চ মাসে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর