× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতদের চার দাবি

শেষের পাতা

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
১৯ জুন ২০১৯, বুধবার

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি নিয়ে সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়ে স্মারকলিপি দেবেন সংগঠনটির পদবঞ্চিত নেতারা। আওয়ামী লীগের দপ্তর সেলে এ স্মারকলিপি দেয়া হবে। গতকাল দুপুরে রাজু ভাস্কর্যে সংবাদ সম্মেলন করেন পদবঞ্চিত নেতারা। সেখানে তারা দাবি আদায়ে চার দফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেয়ার ঘোষণা দেন। তবে সন্ধ্যা নাগাদও তারা স্মারকলিপি দেন নি। আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র ছাত্রলীগের সাবেক কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন বলেন, আমরা বিকালেই স্মারকলিপি জমা দিতাম। কিন্তু পার্টি অফিসে (আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়) আওয়ামী লীগের নেতারা ছিল না বলে জমা দিতে পারি নি। সন্ধ্যার পরে ১০ জন প্রতিনিধি গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেব।
সংবাদ সম্মেলনে পদবঞ্চিত নেতারা অবিলম্বে কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠনের দাবি করেন। বিতর্কিতদের কমিটি থেকে বাদ দিয়ে শূন্য ঘোষণা করা ১৯ পদের কারা ছিলেন তাদের নাম পরিচয়ও প্রকাশের দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে। গত ২৬শে মে দিবাগত রাত থেকে রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন পদবঞ্চিতরা। এখানেই করেছেন ঈদুল ফিতর। গতকাল পদবঞ্চিতদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান ছাত্রলীগের সাবেক কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন। এ সময় আরো বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক সাঈফ বাবু, সদস্য তানভীর হাসান সৈকত, ঢাবির জসিম উদদীন হল ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহেদ খান প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত চার দফা দাবি হলো- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ, ছাত্রলীগের কমিটির যে ১৯ জন বিতর্কিত নেতার পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে তাদের নাম ও পদের নাম প্রকাশ, কমিটিতে যত বিতর্কিত রয়েছে, সবার পদ শূন্য ঘোষণা ও পদবঞ্চিতদের মধ্য যোগ্যতার ভিত্তিতে শূন্য হওয়া পদগুলোতে পদায়ন এবং মধুর ক্যানটিন ও টিএসসিতে হামলার সুষ্ঠু বিচার। পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নেতাকর্মীরা বলেছেন, বিগত সময়গুলোতে যারা সক্রিয়ভাবে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের একটি বৃহৎ অংশকে বাদ কিংবা সঠিক পদে মূল্যায়ন না করে নিষ্ক্রিয়, চাকরিজীবী, বিবাহিত, অছাত্র, গঠনতন্ত্রের উল্লেখিত অধিক বয়স্ক, বিভিন্ন মামলার আসামি, মাদকসেবী, মাদক কারবারি, অপকর্মের দায়ে ছাত্রলীগ থেকে আজীবন বহিষ্কৃত বা বিতাড়িতসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পদ দেয়া হয়েছে। পদ পাওয়া নেতাকর্মীদের একটি পরিচয় আছে, সেটি হলো তারা তাদের (সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক) মাই ম্যান। এত বড় অনিয়ম ও গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের এত বড় নজির শুধু ছাত্রলীগের ইতিহাস নয়, পৃথিবীর ইতিহাসেই নেই।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর