বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারিতে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা দেখেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান স্টিভ স্মিথ, হারিয়েছিলেন অধিনায়কত্ব। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ফিরেছেন অস্ট্রেলিয়া দলে, শুধুই ব্যাটসম্যান হয়ে। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৫ ম্যাচে ২৪৩ রান সংগ্রহ করেছেন স্মিথ। পেয়েছেন ৩টি হাফ সেঞ্চুরি। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কত্ব নিয়ে ভাবেন না স্মিথ। এখন তিনি শুধু নিজের ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিতে চান। স্টিভেন স্মিথ বলেন, ‘আমি অধিনায়কত্ব নিয়ে ভাবি না। আমি সবসময় ব্যাটিং করতেই পছন্দ করি।
আমি বেশির ভাগ সময় নেটে ব্যাটিংই করছি এবং নিজেকে নতুন করে সাজাচ্ছি।’
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার পর মাঠে নামলেই দর্শকদের ‘দুয়ো’ শুনতে হচ্ছে স্মিথকে। তবে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে বিরাট কোহলির আচরণ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন অজি সাবেক অধিনায়ক। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে বাউন্ডারিতে ফিল্ডিংয়ের সময় ভারতীয় সমর্থকরা স্মিথকে ‘চিটার, চিটার’ বলে দুয়ো দেয়। পরে ভারতের সমর্থকদের স্মিথকে দুয়ো না দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন অধিনায়ক কোহলি। এ নিয়ে স্মিথ বলেন, ‘হ্যা, কোহলির আচরণ অসাধারণ ছিল। সত্যি কথা বলতে দর্শকদের দুয়ো আমাকে বিরক্ত করছিলো না। কিন্তু কোহলির এমন আচরণ সত্যি অসাধারণ।
বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন স্মিথ। এখনো সেঞ্চুরির দেখা পাননি তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১০৩ বলে ৭৩ রান করেন স্মিথ। পরে ভারতের বিপক্ষে ৭০ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন। আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫৯ বলে করেন ৭৩ রান । তবে এই অজি ব্যাটসম্যানের বিশ্বাস, দলের প্রয়োজনে তিনি ব্যাট হাতে সহায়তা করতে পারবেন। তিনি বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দেখেন সেটা অবশ্যই ওয়ানডের মতো ব্যাটিং ছিল না। দলের অবস্থা বুঝে ব্যাটিং করি। মাঝে মধ্যে টেস্ট খেলতে হয়। আবার মাঝে মাঝে টি-টোয়েন্টি মেজাজেও ব্যাটিং করতে হয়। মিডলঅর্ডারে নামলে সময় অনুযায়ী আপনার ব্যাটিং পরিবর্তন করতে হয়।’ ২০১০-এ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষেকের পর ওয়ানডে ক্যারিয়ারে স্মিথের সংগ্রহ ১১৩ ম্যাচে ৩ হাজার ৬৭২ রান। ক্যারিয়ারে স্মিথের নামের পাশে ৮ সেঞ্চুরি ও ২২ হাফসেঞ্চুরি রয়েছে।