× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সাকিবই কি সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার?

বাংলাদেশ কর্নার

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৯ জুন ২০১৯, বুধবার

বিশ্বকাপে কিছু একটা প্রমাণের পণ করে যেন নেমেছেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাচ্ছেন এবারের আসরে। বোলিংয়ে ভালো করছেন সাকিব, এখন পর্যন্ত নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। চমকে দিয়েছেন ব্যাটিংয়ে। টানা চার ম্যাচে খেলেছেন পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস। এর শেষ দুটিতে তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার অপরাজিত ১২৪ রানের ইনিংসে ভর করে ওয়ানডেতে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। অনন্য সব অর্জনে সাকিবকে এরই মধ্যে কিংবদন্তির আসনে বসিয়েছে বিশ্ব মিডিয়া।
অনেকে তাকে স্যার গ্যারি সোবার্স, ইয়ান বোথাম, রিচার্ড হ্যাডলিদের কাতারে বসিয়েছেন। ভারতের জনপ্রিয় দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা সাকিব সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন। ২০২ ম্যাচে সাকিব যে কীর্তি গড়েছেন, তাতে তাকে সেরাদের সেরা বললে কি ভুল হবে?
স্যার রিচার্ড হ্যাডলির ফাস্ট বোলিং খেলা সত্যিই মুশকিল ছিল। বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান হিসাবে খেললেও বল করতেন ডান হাতে। ৮৬ টেস্টে ৪৩১ উইকেট নিয়েছেন। সঙ্গে লোয়ার অর্ডারে নেমে ৩১২৪ রান।  ১১৫ ওয়ানডে ম্যাচে রয়েছে ১৭৫১ রান এবং ১৫৮ উইকেট। ১০২ টেস্টে ইংল্যান্ডের স্যার ইয়ান বোথাম করেছেন ৫২০০ রান। নিয়েছেন ৩৮৩ উইকেট। ১১৬টি ওয়ানডে ম্যাচে ২১১৩ রানের সঙ্গে রয়েছে ১৪৫ উইকেট। ১৯৮৩-তে ইংল্যান্ডের মাটিতে দেশকে প্রথমবার বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন কপিল দেব। অলরাউন্ডার হিসাবে  বোথাম-ইমরান-হ্যাডলির সঙ্গে একসারিতে নাম উঠবে তার। ১৩১ টেস্টে ৫২৪৮ রান ছাড়াও নিয়েছেন ৪৩৪ উইকেট। ২২৫টি ওয়ানডে ম্যাচে ৩৭৮৩ রান ছাড়া তুলে নিয়েছেন ২৫৩ উইকেট। অধিনায়ক হিসাবে পাকিস্তান ক্রিকেটকে অন্য মাত্রা দিয়েছিলেন ইমরান খান। তার নেতৃত্বে ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান। ফাস্ট বোলার হিসাবে এই অক্সফোর্ড স্নাতকের ঝুলিতে রয়েছে ১৭৫ ম্যাচে ১৮২ উইকেট। ব্যাটে অবদান ৩৭০৯ রান। আর ৮৮ টেস্টে করেছেন ৩৮০৭ রান। সঙ্গে নিয়েছেন ৩৬২ উইকেট। ব্যাটে-বলে সমান বিধ্বংসী ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিস। ১৬৬ টেস্টে ১৩২৮৯ রানের পাহাড়ের সঙ্গে তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ২৯২ উইকেট। ৩২৮ ওয়ানডে খেলা তার ফাস্ট মিডিয়াম বোলিংয়ে তুলে নিয়েছেন ২৭৩ উইকেট।  সঙ্গে করেছেন ১১৫৭৯ রান। অলরাউন্ড পারফরমেন্স দিয়ে বিশ্ব মাতিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার লান্স ক্লুজনার, নিউজিল্যান্ডের ক্রিস কেয়ার্নস, শহীদ আফ্রিদি, আব্দুর রাজ্জাক। এদের চেয়ে সাকিবের অর্জন একটু আলাদা। ওয়ানডেতে ২৫০ উইকেট পূরণ করতে মাত্র ১৯৯ ম্যাচ লেগেছে সাকিবের, যা কি না চামিন্ডা ভাস ও কপিল দেবের মতো বোলারদের চেয়েও দ্রুত। আরেকটি জায়গায়ও অনবদ্য সাকিব। ওয়ানডেতে ৬ হাজার রান ও ২৫০ উইকেটের ডাবলে পৌঁছানো দ্রুততম ক্রিকেটার এখন সাকিব। ডাবল পূর্ণ করতে সাকিবের লেগেছে মাত্র ২০২ ম্যাচ। এর আগে রেকর্ডটির মালিক ছিলেন শহীদ আফ্রিদি, লেগেছিল ২৯৪ ইনিংস। জ্যাক ক্যালিসের লেগেছিল ২৯৬ ইনিংস, আর সনাত জয়াসুরিয়ার লেগেছিল ৩০৪ ইনিংস। আইসিসি ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে অলরাউন্ডার হিসাবে সাকিব আল হাসান রয়েছেন শীর্ষে দীর্ঘদিন ধরে। ২০২ ওয়ানডে ম্যাচে করেছেন ৬১০১ রান। বাঁ-হাতি অর্থডক্স বোলিংয়ে তুলে নিয়েছেন ২৫৪ উইকেট। ৫৫ টেস্টে ৩৮০৭ রানের সঙ্গে রয়েছে ২০৫ উইকেট। টি-টোয়েন্টি  ক্রিকেটে করেছেন ১৪৭১ রান (৭২ ম্যাচে)। এবং রয়েছে ৮৮ উইকেট। এখন পর্যন্ত ২০বার ম্যাচ সেরা হয়েছেন সাকিব। সিরিজ সেরা হয়েছেন পাঁচবার। এসবের হিসেবেই অলরাউন্ডার হিসেবে সাকিব অসাধারণ। তাইতো সেরাদের সেরা তাকে বলাই যায়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর