× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কিশোরগঞ্জে জাবি ছাত্র হত্যা / ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, সাতজনের যাবজ্জীবন

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে
২০ জুন ২০১৯, বৃহস্পতিবার

বিসিএস উত্তীর্ণ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এরশাদুল হক চয়ন হত্যা মামলায় আবদুল আউয়াল (৪৪), আল আমিন (৪০) ও সুফল মিয়া (৩৬) নামের তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। মামলার অপর সাত আসামি আব্দুল করিম (৫৪), সাফিয়া খাতুন (৪৭), আব্দুল কাদির ফকির (৫৯), সোহেল মিয়া (৩৮), রিপা আক্তার (৪৪), জহুরা খাতুন ওরফে অনুফা (৫৪) ও আব্দুর রউফ ফকির ওরফে রূপ মিয়া (৫৪) কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত ১০ আসামির প্রত্যেককে পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার সকালে কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় ১০ আসামির মধ্যে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত পলাতক দুই আসামি আবদুল আউয়াল ও সুফল মিয়া এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত পলাতক আসামি সোহেল মিয়া ছাড়া বাকি সাত আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল। মৃত্যুদণ্ড এবং কারাদণ্ডে দণ্ডিত ১০ আসামিই হোসেনপুর উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের টান সিদলা গ্রামের বাসিন্দা। অন্যদিকে নিহত এরশাদুল হক চয়ন টান সিদলা গ্রামেরই জহিরুল ইসলাম রতনের ছেলে। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অনার্সসহ মাস্টার্স সম্পন্ন করে বিসিএস দিয়ে স্টেশন মাস্টার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন।
কিন্তু চাকুরিতে যোগদানের মাত্র দু’দিন আগে ২০০৫ সালের ২রা ডিসেম্বর পারিবারিক বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন এরশাদুল ইসলাম চয়ন। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৫ সালের ২রা ডিসেম্বর দুপুরের দিকে আসামিরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে চয়নদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে চয়নের মা ও বোনকে পিটিয়ে আহত করে। এ সময় বাড়িতে থাকা চয়ন তাদের রক্ষা করতে গেলে হামলাকারীরা উপর্যুপরি কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে তাকে গুরুতর আহত করে। মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ওই দিনই নিহত চয়নের পিতা জহিরুল ইসলাম রতন বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে হোসেনপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. ইয়াকুব আলী ২০০৬ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারি ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালে আমিনুল হক হিরা নামে এক আসামি মারা যায়।
দীর্ঘ সাড়ে ১৪ বছর পর বুধবার চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি যজ্ঞেশ্বর রায় চৌধুরী এবং আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট অশোক সরকার মামলাটি পরিচালনা করেন। মামলার রায়ে নিহতের বাবা জহিরুল ইসলাম রতন এবং মা মোমেনা খাতুন সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর