× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিশ্বনাথে উজান ভাটি খালের উপর বাঁধ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
২০ জুন ২০১৯, বৃহস্পতিবার

 সিলেটের বিশ্বনাথের ‘উজান ভাটি’ খালের উপর নির্মিত তবলপুর ব্রিজ ঘেঁষে নদীর উপর বাঁধ নির্মাণ করায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে এলাকার একাংশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু আবেদনের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ক্রমেই উত্তেজনা বেড়ে চলেছে। এ নিয়ে এলাকায় দুই পক্ষ মুখোমুখি রয়েছে। যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। আবেদনকারীরা হলেন এলাকাবাসীর পক্ষে আবদুল মালিক, সুন্দর আলী, সিরাজ মিয়া, মাসুক মিয়া, মেরু মিয়াসহ শতাধিক ব্যক্তি। আর অভিযুক্তরা হচ্ছে তবলপুর গ্রামের আবদুল ছালাম, মইনুল ইসলাম, গৌছ আহমদ বাবু। গত ১০ই জুন এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
আবেদনে আবদুল মালিকসহ এলাকার ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, সুরমা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ‘উজান ভাটি’ খাল। বিশ্বনাথ উপজেলার ৮-১০ গ্রামের মানুষের পানির একমাত্র উৎস ওই খাল। খালের উপর সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুটি ব্রিজ হয়েছে। এছাড়া খালের দুই তীরে অসংখ্য গাছ রয়েছে। বর্ষাকালে ওই খাল দিয়ে পানি প্রবাহিত হয় আর শীত মৌসুমে খালের পানি বোরো চাষ ও রবিশস্যের ক্ষেতে ব্যবহার করা হয়।
গত শুকনার মৌসুমে এলাকার আবদুল ছালাম, মইনুল ও গৌছ খালের তবলপুর সরকারি ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে রড ঢালাই দিয়ে খালের উপর বাঁধ নির্মাণ করেছে। এতে পানি চলাচল না হওয়াতে মরা সুরমা জলমহালের পানি দূষিত হয়ে পড়েছে। এমনকি ক্ষেতের লাউ, বেগুনসহ শাকসবজি চাষে মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয়। ওই বাঁধটি সরকারি ব্রিজের রেলিংয়ের সঙ্গে দেয়ার কারণে রেলিংয়ের দুই পাশ ভেঙে যাচ্ছে। এই ব্রিজের রেলিং ভেঙে গেলে গোটা এলাকা বিশ্বনাথ সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। স্কুল ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা ভোগান্তির শিকার হবে। এর পাশাপাশি খালের দুই পাশ থেকে ওই ব্যক্তিরা দুই লক্ষাধিক টাকার গাছ বিক্রি করে আত্মসাৎ করেছে। পাশাপাশি মাটি বিক্রি করে ওই টাকা আত্মসাৎ করেছে। এখন খালে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান এলাকার ভুক্তভোগী কৃষকরা।
এদিকে স্মারকলিপি প্রদানের পরও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন- বাঁধ অপসারণ না করলে গোটা এলাকা পানিশূন্য হয়ে পড়বে। আবদুল মালিকসহ এলাকার ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, দ্রুত বাঁধ না সরালে এলাকায় উত্তেজনা ছড়াবে। এলাকার মানুষ বাঁধের কারণে পানি সংকটে পড়ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর