× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দিনাজপুরে মিলেছে লোহার খনির সন্ধান

বাংলারজমিন

হাকিমপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
২০ জুন ২০১৯, বৃহস্পতিবার

 দেশের প্রথম ও বড় আকারের লোহার খনির সন্ধান মিলেছে দিনাজপুরের হাকিমপুরের ইশবপুরে। যার স্তর প্রায় ৪শ’ ফিট ও যেটি ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত রয়েছে। খনি থেকে উত্তোলিত নমুনা থেকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে লোহার আকরিকের সঙ্গে নিকেল, কপার, ক্রোমিয়ামের উপস্থিতি পেয়েছে বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি)। আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকাতে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব বা মন্ত্রী মহোদয়ের দু’তিন দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ব্রিফ করার কথা রয়েছে। গত ১৯শে এপ্রিল থেকে হাকিমপুরের ইশবপুরে খনির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের ড্রিলিং কার্যক্রম শুরু করে ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি)। এবং সেই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য শিবলি সাদিক। উদ্বোধনের পর ড্রিলিং-এর ১ মাসের  মাথায়  ৪শ’ ফিট গভীরতা থেকে ১৩০০ শ’ ফিটের মধ্যে লোহার আকরিকের সন্ধান পায় জরিপ দল। পরে খনি থেকে উত্তোলিত লোহার নমুনা পরীক্ষার জন্য জয়পুরহাটের ল্যাবে পাঠানো হয়।
সেখানে দীর্ঘ এক মাস সময় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় ভাবে বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি)-এর উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মাসুম লোহার খনির আবিষ্কারের সুখবর জানান। তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে খনি আবিষ্কারের ঘোষণাটি ঢাকা থেকে দেয়া হবে।
খনি থেকে নমুনা উত্তোলনের পর পরীক্ষাগারে পাঠানোর কয়েক দিনের মাথায় গত ২৬শে মে খনির সন্ধান লাভের সম্ভাবনা দেখা দেয়ায় ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জিল্লুর রহমান ড্রিলিং কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। খনি থেকে উত্তোলিত লোহার আকরিকগুলো নিজ চোখে দেখেন। তখন তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন আমরা এখন পর্যন্ত খনি থেকে যা পেয়েছি তাতেই সন্তুষ্ট, তবে সামনে আমরা ভালো কিছু পেতে চলেছি, যা আমাদের আশার চেয়ে বেশি কিছু পাবো। তবে সংবাদটি আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হবে, আরো কিছু পরীক্ষা- নিরীক্ষা করার পর।
বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি)-এর উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মাসুম বলেন, বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানের জন্য প্রায় দু’মাস আগে হাকিমপুরের ইশবপুরে খনন কার্যক্রম শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ অবধি আমরা প্রায় ১৮০০ ফিট গভীরতায় খনন কার্যক্রম চালিয়েছি। এখানে ১৩০০ ফিট মাটির নিচে উন্নতমানের লোহার আকরিকের ম্যাগনেটাইটের সন্ধান পায়। যার স্তর প্রায় ৪শ’ ফিটের কাছাকাছি। আমরা আশা করছি যে, এই ধরনের স্তরের পরিধি ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি এই পরিমাণ স্তরের খনির ব্যাপ্তি পাওয়া যায় তাহলে এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যে লোহার আকরিকের খনি আছে সেই ধরনের বড় আকারের মজুত সম্পূর্ণ একটি লোহার খনির সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা খনি থেকে পাওয়া নমুনা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি। তাতে করে লোহার আকরিকের সঙ্গে নিকেল, কপার, ক্রোমিয়ামের উপস্থিতি পেয়েছি।   
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর