× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আন্দোলনে উত্তাল বুয়েট

শেষের পাতা

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
২০ জুন ২০১৯, বৃহস্পতিবার

শিক্ষার্থীদের ১৬ দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনে অচলাবস্থা বিরাজ করছে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। গতকাল পঞ্চম দিনের মতো ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। তবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এখনো কথা বলতে আসেননি ভিসি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। শিক্ষক প্রতিনিধির মাধ্যমে ১৬ দফা দাবি মানা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাই ক্ষোভ   
বাড়ছে শিক্ষার্থীদের। আন্দোলনের তীব্রতাও বাড়ছে শুরু থেকে। চলমান সংকটে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি শেষে শনিবার থেকে আবারো আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সমর্থন দিয়েছে বলে দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা।


গতকাল বিক্ষোভ শেষে আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র হাসান সরওয়ার সৈকত বলেন, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার আমাদের সাপ্তাহিক ছুটি। এ কারণে এ দু’দিন আন্দোলন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী শনিবার সকাল থেকে আবারও আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাব। তিনি বলেন, টানা পাঁচদিন ধরে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি পূরণের কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। যতদিন পর্যন্ত দাবি বাস্তবায়নের দৃশ্যমান কোন কিছু পরিলক্ষিত না হবে ততদিন আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। তার দাবি, বর্তমান ভিসি সাইফুল ইসলাম শিক্ষার্থীবান্ধব না। তিনি সব সময় শিক্ষার্থীদের থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করেছেন। গতকাল পঞ্চম দিনের বিক্ষোভে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নেন। তারা ক্যাম্পাসে মিছিল সমাবেশ করে দাবির পক্ষে স্লোগান দেন।
এদিনও আন্দোলনকারীরা দলবদ্ধ হয়ে রেজিস্ট্রার ভবনে তালা দিয়েছেন। তারা ‘প্রশাসনের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’; ‘প্রহসনের প্রশাসন মানি না, মানি না’; ‘স্বৈরাচারী প্রশাসন মানি না, মানবো না’; ‘স্বৈরাচারের ঠিকানা, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে না’, ‘আমাদের দাবি মানতে হবে, মানতে হবে’; এমন নানা স্লোগান দেন। শিক্ষার্থীরা জানান, ভিসির সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য বারবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে গত দুইদিন আগে ভিসি ভবনে তালা লাগিয়ে দেন তারা। এরপর থেকে ভিসি আর ক্যাম্পাসে আসেননি। এদিকে, এসব দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলবেন না বলে শিক্ষকদের মাধ্যমে সংবাদ পৌঁছে দিয়েছেন বুয়েট ভিসি। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তা মানতে রাজি নয়, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন তারা। গতকাল সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসের অচলাবস্থা নিয়ে ভিসি অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ১৬ দফা দাবি হলো-বুয়েট গেটের জন্য সিভিল-আর্কিটেকচার ডিপার্টমেন্টের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি গঠন করতে হবে ও ডিজাইনের জন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা আয়োজন করার অফিসিয়াল নোটিশ দিতে হবে, বিতর্কিত নতুন ডিএসডাব্লিউকে (ছাত্রকল্যাণ পরিচালক) অপসারণ করে ছাত্র বান্ধব ডিএসডাব্লিউ নিয়োগ দিতে হবে, ছাত্রী হলের নাম ‘সাবেকুন নাহার সনি হল’ হিসেবে নামকরণ করতে হবে, ১০৮ ক্রেডিট অর্জনের পর ডাবল সাপ্লি দেওয়ার যে পদ্ধতি গত টার্মে চালু হয়েছিল সেটা পুনর্বহাল রাখতে হবে, আবাসিক হলগুলোর অবকাঠামোগত যেসব কাজ ভিসির অফিসে আটকে আছে তা ছাড় করতে হবে, সিয়াম-সাইফ সুইমিংপুল কমপ্লেক্স স্থাপনের জন্য ভিসির সিগনেচারে নোটিশ দিতে হবে, নির্মাণাধীন টিএসসি ভবন ও নেম ভবনের কাজ শুরু করতে হবে, নিয়মিত শিক্ষক মূল্যায়ন প্রোগ্রাম চালু করতে হবে, বুয়েটের যাবতীয় লেনদেনের ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়ার অফিশিয়াল উদ্যোগ নিতে হবে, নির্বিচারে ক্যাম্পাসের গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে, কেন গাছ কাটা হয়েছে সেটার ব্যাখ্যা দিতে হবে, যতগুলো গাছ কাটা হয়েছে তার দ্বিগুণ গাছ ভিসিকে উপস্থিত থেকে লাগাতে হবে, গবেষণায় বরাদ্দ বাড়াতে হবে, প্রাতিষ্ঠানিক মেইল আইডি দিতে হবে, বুয়েট ওয়াইফাই আধুনিকায়ন করতে হবে, ব্যায়ামাগার আধুনিকায়ন করতে হবে, বুয়েট মাঠের উন্নয়ন করতে হবে এবং পরীক্ষার খাতায় রোলের পরিবর্তে কোড সিস্টেম চালু করতে হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর