× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আইসিসি’র বিরুদ্ধে ভারতের নানা অভিযোগ!

ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০১৯

স্পোর্টস ডেস্ক
২০ জুন ২০১৯, বৃহস্পতিবার

ইংল্যান্ড, ভারত ও অস্ট্রেলিয়াকে বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে আইসিসি! ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেন বিভিন্ন দলের সাবেক খেলোয়াড়রা। কুমারা সাঙ্গাকারার দাবি শ্রীলঙ্কাকে গ্রিন পিচে খেলতে দিচ্ছে আয়োজকরা। জ্যাক ক্যালিসের দাবি ভারতকে বাড়তি সুবিধা দিয়েই সূচি তৈরি করেছে আইসিসি। সাবেকরা যখন  নানা অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছে আইসিসির বিপক্ষে। ঠিক তখনই উল্টো বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে ভারত। তাদের অভিযোগে ব্যবস্থা নিয়েছে আইসিসি।
ভারতকে শুধু মাঠের মধ্যে একের পর এক প্রতিপক্ষকেই ঘায়েল করলে হবে না। মাঠের বাইরেও নানা রকম যুদ্ধে জিততে হবে।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগে কোহলির সিংহাসনে বসা ছবি আইসিসি টুইট করায় বিতর্কের ঝড় বয়ে গিয়েছিল। তখন অনেকে প্রশ্ন তোলেন, কোহলি বা ভারতের মতো আরও ন’টি দেশ ও তাদের অধিনায়করা আছেন। তা হলে শুধু ভারত অধিনায়কের সিংহাসনে বসা ছবি টুইট করলো কেন আইসিসি? নিয়ামক সংস্থা হয়ে তারা নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারলো কোথায়? কিন্তু যত দিন গড়িয়েছে, পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, আইসিসি মোটেও বিশ্বকাপে ভারতের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিতে আসেনি। বরং কারও কারও সন্দেহ জাগছে, কোহলি এবং তার দলের রাস্তায় কাঁটাই বেশি বিছানো থাকছে কি না। প্রথম সন্দেহ জাগে পিচের চরিত্র নিয়ে। শুরুর দিকে অনেক জায়গায় আইসিসি-র পিচ প্রধান অ্যান্ডি অ্যাটকিনসনকে দেখা যাচ্ছিল না। বিভিন্ন জায়গার পিচে খুব বেশি পরিমাণে তফাত ধরা পড়ছিল। ভারতের প্রথম ম্যাচ হয়েছিল সাউদাম্পটনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। পিচ বেশ কঠিন ছিল।
সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ হচ্ছে, প্রধান কিউরেটর না থাকায় নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। পিচ তদারকির দায়িত্ব দিয়ে দেয়া হচ্ছিল স্থানীয় কিউরেটরদের হাতে। স্থানীয় কিউরেটর মানে তারা সবাই ইংল্যান্ডের। অনেকেই তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে। পাশাপাশি কেউ কেউ সূচির দিকেও আঙুল তোলেন। ভারতের প্রথম চারটি ম্যাচই ছিল শক্তিধর প্রতিপক্ষ। দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান। মানে প্রথম চারটে ম্যাচেই বিশ্বকাপ ভাগ্য এসপার-ওসপার হয়ে যেতে পারতো বিরাট, রোহিতদের। অন্য কোনও দলকে শুরুতেই এভাবে সব শক্তিশালী দলের মুখে পড়তে হয়নি। মিলিয়ে মিশিয়ে প্রতিপক্ষ পেয়েছে। ইংল্যান্ড যেমন তাদের সব চেয়ে শক্তিশালী দুই প্রতিপক্ষ ভারত ও অস্ট্রেলিয়াকে খেলছে শেষের দিকে। আবার অন্যরা মাঠে নেমে পড়লেও ভারত নেমেছিল সবার শেষে। চাপে পড়ে আইসিসি এখন তাদের প্রধান পিচ প্রস্তুতকারক অ্যান্ডি অ্যাটকিনসনকে ফিরিয়ে এনেছে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে ম্যাঞ্চেস্টারে পাঠানো হয় অ্যাটকিনসনকে। হাতেনাতে ফলও পাওয়া যায়। অ্যাটকিনসন আসার পরে ম্যাঞ্চেস্টারে দু’টো ম্যাচ হয়েছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত তোলে ৩৩৬। এ দিন অইন মরগানের ইংল্যান্ড তুলল ৩৯৭। অথচ, এত কাল ইংল্যান্ডে ব্যাটসম্যানদের জন্য সব চেয়ে কঠিন ঠাঁই ছিল ম্যাঞ্চেস্টারই। বোঝাই যাচ্ছে, অ্যাটকিনসনের অভিজ্ঞ হাত পড়ায় পিচের চরিত্রে রদবদল হতে শুরু করেছে। কারও কারও মতে, আইসিসি-র পক্ষে অ্যাটকিনসনকে না ফিরিয়ে উপায়ও ছিল না। টুর্নামেন্টের নিরপেক্ষতা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠে যাচ্ছিল। কোনও কোনও দল ঘুরিয়ে অনুযোগ করতে শুরু করেছিল যে, ইংল্যান্ডের ম্যাচগুলো বেশির ভাগই হাইস্কোরিং হচ্ছে। অন্যান্য অনেক জায়গায় বোলাররা প্রাধান্য পাচ্ছে। এউইন মরগানরা যে গত দু’বছরে ওয়ানডে ব্যাটিংয়ে আরও বিধ্বংসী হয়েছে, তা নিয়ে কারও দ্বিমত নেই। কিন্ত ইংল্যান্ডের সব ম্যাচেই কী করে তিনশোর উপরে রান উঠছে, সেই প্রশ্নও বা কীভাবে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা যায়? শুধুই কি কাকতালীয়? একই মাঠে যখন অন্য টিম খেলছে, তখন রানের জোয়ার দেখা যাচ্ছে না কেন? তাই তাদের এই প্রশ্ন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর