× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শারজা থেকে নটিংহ্যাম

বাংলাদেশ কর্নার

স্পোর্টস রিপোর্টার
২০ জুন ২০১৯, বৃহস্পতিবার

৩০শে এপ্রিল ১৯৯০। শারজায় অস্ট্রাল-এশিয়া কাপের ষষ্ঠ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি বাংলাদেশ। অজিদের বিপক্ষে সেটি ছিল টাইগাদের প্রথম ওয়ানডে। বাংলাদেশ তখন ক্রিকেটের নবীন সদস্য। বড় দলগুলোর বিপক্ষে খেলতে পারাটাই ছিল তাদের বড় প্রাপ্তি। অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের ওই ম্যাচে বাংলাদেশ পুরো ৫০ ওভার ব্যাটিং করে ১৩৪/৮ তুলেছিল। সর্বোচ্চ ৪১ রান করেছিলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। গ্রেগ চ্যাপেল-স্টিভ ওয়াহদের অস্ট্রেলিয়া ৭ উইকেটে জিতে নেয় ম্যাচটা।
২৯ বছরে আরো ২০ বার অজিদের বিপক্ষে লড়েছে বাংলাদেশ। জয় মাত্র ১টিতে। তবে ২০০৫ সালে কার্ডিফে পাওয়া ওই জয়টাই আজ নটিংহামে অজিদের বিপক্ষে বড় প্রেরণা বাংলাদেশের।
অন্য প্রতিপক্ষের তুলনায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অনেক কম ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। ২০০৫ সাল পর্যন্ত ঘরের মাঠে অজিদের বিপক্ষে কোনো ম্যাচ খেলার সৌভাগ্য হয়নি টাইগারদের। ২০০৬ সালে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল তারা। বাংলাদেশ হারে সবকটিতেই। এরপর ২০১১ সালে দ্বিতীয়বার বাংলাদেশ সফরে এসে ওয়ানডে সিরিজ খেলে অস্ট্রেলিয়া। তুলনামূলকভাবে ওই সিরিজে লড়াই করে হারে বাংলাদেশ। কারণ ততদিনে অনেকটাই পোক্ত হয়ে উঠেছে টাইগাররা। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের সেরা সময়ে কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলছে না অস্ট্রেলিয়া। কেবল আইসিসি ইভেন্টগুলোতেই তাদের সঙ্গে সাক্ষাত হয়। ২০১১ সালের পর মাত্র দুটি ম্যাচে অজিদের বিপক্ষে খেলার সুযোগ হয়েছিল বাংলাদেশের। গত বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব ও ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচ। দুটিই বৃষ্টির কারণে কোনো ফল দেখেনি।
২০১৫ সালের ওই ম্যাচ বাদে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আইসিসি বিশ্বকাপে আরো দুবার লড়েছে বাংলাদেশ। প্রথম সাক্ষাতটা ১৯৯৯ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে। ততদিনে ছোট দলগুলোর বিপক্ষে টুকটাক ম্যাচ জিতছে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের চেস্টার লি-স্ট্রিটে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওই ম্যাচটা নিয়ে বেশ আশাবাদী ছিল বাংলাদেশ। কারণ, আগের ম্যাচেই স্কটল্যান্ডকে ২২ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম জয় দেখেছিল তারা। কিন্তু ফেভারিট অজিদের বিপক্ষে একরকম উড়ে যায় বাংলাদেশ। টসে জিতে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহ বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায়। টম মুডি-গ্লেন ম্যাকগ্রার পেস তোপে ৭২ রানে ৪ উইকেট নেই বাংলাদেশের। ৯১ রানে টাইগাররা হারায় দলের সেরা ব্যাটসম্যান ও অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুলকেও। তবে বাংলাদেশকে অলআউট করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ৬ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর ৯৯ বলে ৫৩ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহটাকে নিয়ে যান ১৭৮ পর্যন্ত। ম্যাচটা অস্ট্রেলিয়া ৭ উইকেট হাতে রেখে ১৯.৫ ওভারেই জিতে নেয়। পরের ম্যাচে কিন্তু আসরের অন্যতম ফেভারিট পাকিস্তানকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ। কে জানে, অজিদের বিপক্ষে লড়াইটাই হয়তো টাইগারদের ভালো খেলার প্রেরণা জুগিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সাক্ষাতের স্মৃতিটাও ভালো নয় বাংলাদেশের। গ্রুপ পর্বে ভারতকে হারানো টাইগাররা সুপার এইটে অজিদের বিপক্ষে ১০৪ তুলতে পেরেছিল (কার্টেল ওভারে ২২ ওভারের ম্যাচ)। লক্ষ্যটা ১০ উইকেট ও ৪৯ বল হাতে রেখে টপকে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। বৃষ্টির কারণে, গত বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচটি এক বলও মাঠে গড়ায়নি। ইংল্যান্ডের যে আবহাওয়া তাতে এবারো বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচে বাগড়া দিতে পারে বৃষ্টি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর